• জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ? তরুণী হত্যার ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
    এই সময় | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • কৃষ্ণনগরের তরুণীর গায়ে অ্যাসিড বা অন্য কোনও রাসায়নিক দিয়ে পোড়ানোর প্রমাণ মেলেনি। তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে এমনটাই জানালেন চিকিৎসক সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যার তা পুলিশও খতিয়ে দেখছে।বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিহত তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের শেষে চিকিৎসক সৌম্যজ্যোতি জানান, আরও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি আছে। সব কাজ মিটলে তদন্তকারী অফিসারকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে, তিনি বলেন, ‘অ্যাসিডে পোড়ানোর কোনও প্রমাণ আমরা পাইনি। যা পেয়েছি, তা ‘অ্যান্টিমর্টেম বার্ন’ (জীবন্ত অবস্থায় পোড়ানো)।’

    পরিবারের অভিযোগ ছিল, তরুণীর ধর্ষণের পরে খুন করা হয়। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক বলেন, ‘কিছু পরীক্ষা এখনও বাকি আছে। তা না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারছি না।’ অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানান, ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি আছে। সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে এলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তরুণীর দেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

    ইতিমধ্যেই তরুণী হত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। এই তদন্তে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কৃষ্ণনগর আদালত।
  • Link to this news (এই সময়)