কৃষ্ণনগরে তরুণী ‘ধর্ষণ-খুনে’ সিট গঠন, CID-র সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ
এই সময় | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
কৃষ্ণনগর শহরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT গঠন করল রাজ্য। নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের এসপি অমরনাথ কে। ঘটনায় CID-র সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও বৃহস্পতিবার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন। এ দিন ঘটনাস্থল (যেখানে দেহ উদ্ধার হয়) যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ এবং CID-র কর্তারা।পরে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতের পূর্ব পরিচিত ছিল ধৃত রাহুল। তাকে এক দফা জেরা করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে। SIT গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হবে। CID-র সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি স্পষ্ট করেছেন পরিবারের পাশে পুলিশ অবশ্যই থাকবে। ঘটনায় কি একাধিক লোক জড়িত বলে মনে করছে পুলিশ? জবাবে সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ফরেন্সিক রিপোর্ট না দেখে এসব বলা সম্ভব নয়।’
নির্যাতিতার মা ঘটনার প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছেন, ধৃত রাহুল তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ ও খুন করেছে। এ দিকে ধৃতের মা এদিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। ঘটনার দিন সন্ধ্যার মধ্যে ছেলে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। অল্প খাবার খেয়ে ঘুমিয়েও পরে। ধৃতের পরিবার উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। রাহুলের মা বলেন, ‘মেয়েটার জন্য আমার খারাপ লাগছে, কিন্ত যে প্রকৃত দোষী তাকে গ্রেপ্তার করা হোক।’ এদিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত দাবি করেছে, মঙ্গলবার রাতে সে বাড়িতেই ছিল। ফোনে কথা হয়েছিল তাদের।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর শহরে এক তরুণীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ভোরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পুজো মণ্ডপের পাশেই ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয় মেয়েকে। তাঁকে যাতে কেউ চিনতে পারে তার জন্য পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়। ঘটনার পর তাঁর ‘প্রেমিক’ রাহুল বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় বুধবারই পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অপহরণ, গণধর্ষণ, খুন, অ্যাসিড বা অনুরূপ কিছু ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া, প্রমাণ লোপাট এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করেছে।