• এখনও অনাবাদি ৭০ শতাংশ জমি, মমতার সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সিঙুরের অনিচ্ছুকরাও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির আগে ফের একবার শিল্পের দাবিতে সরগরম হয়ে উঠল হুগলির সিঙুর। রতন টাটার মৃত্যুর পর নতুন করে তাজা হয়ে উঠেছে সিঙুরে কারখানা হারানোর ক্ষত। আর সেই শিল্পের দাবিতেই ফের একবার সোচ্চার হয়েছেন সিঙুরের চাষিরা। উল্লেখযোগ্যভাবে এবার ইচ্ছুক চাষিদের সঙ্গে শিল্পের দাবিতে সরব হয়েছেন অনিচ্ছুকদের একাংশও। ন্যানো কারখানার অনাবাদি জমি আবাদি করে দেওয়ার দাবিতে সংগঠনও গড়ে তুলেছেন তাঁরা।

    টাটার ন্যানো কারখানার পরিত্যক্ত জমির অধিকাংশ এখনো চাষযোগ্য নয় বলে দাবি অনিচ্ছুক চাষিদের একাংশের। তাদের অভিযোগ, সরকার বলছে সিঙুরের ন্যানো কারখানা এলাকার ৯১ শতাংশ জমি চাষযোগ্য হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এখনও ৭০ শতাংশ জমিতে চাষ করা যাচ্ছে না। খাতায় কলমে চাষিরা জমি পেলেও তার অধিকার সরকার চাষিদের বুঝিয়ে দেয়নি। এর জেরেই ইচ্ছুক চাষিদের সঙ্গে শিল্পের দাবিতে সরব হয়েছেন অনিচ্ছুকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, হয় সরকার জমি চাষযোগ্য করে ফিরিয়ে দিক, নইলে শিল্প করুক। এই দাবিতে সিঙুর বন্ধা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটি নামে মঞ্চ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন অনিচ্ছুক চাষিরা।

    সিঙুরের চাষিদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সিঙুরের জমি চাষযোগ্য হয়েছে বলে যে দাবি করছে তা ভুয়ো। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় সড়কের পাশে কিছু জমিতে ভুট্টা চাষ করে সেই জমি আবাদি বলে দাবি করে সরকার। তার পর আবার সেই জমি আগাছায় ভরে গিয়েছ।

    সিঙুরের চাষিদের দাবি, অনেক হয়েছে, সিঙুরে শিল্প ফিরুক। যেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প নিধনের যজ্ঞ শুরু হয়েছিল, সেই সিঙুরই হোক শিল্পের আঁতুড় ঘর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)