• ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিরাট কৌশল নিল তৃণমূল, প্রতিবাদের ‘ওষুধ’ আর কাজ করবে না বাংলায়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন যত তীব্রতর হয়েছে ততই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে পুজো মিটতেই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ল তৃণমূল। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দিনের পর দিন ধরে চেষ্টা করে গিয়েছেন কীভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কোণঠাসা করা যায়। কিন্তু কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয়নি। তবে এবার কিছুটা অন্যপথে হেঁটে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামার চেষ্টা করছে তৃণমূল। 

    একদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের তরফে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। অন্যদিকে এবার নিবিড় জনসংযোগ করতে চাইছে তৃণমূল। কারণ ইতিমধ্য়েই রাজ্যের ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেখানে যাতে এই ক্ষোভ বিক্ষোভের প্রভাব না পড়ে সেদিকে সবরকম ভাবে খেয়াল রাখছে তৃণমূল। 

    বৃহস্পতিবার থেকে এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। কেবলমাত্র বিধানসভা ভিত্তিক নয়, একেবারে তৃণমূলস্তরে ব্লকস্তরেও এই ধরনের জনসংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে এই কর্মসূচিতে নামছে তৃণমূল। সেখানে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গেই ভিন রাজ্যের বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যে সমস্ত খুন ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা হয়েছে সেগুলিকে এবার সামনে আনা হবে। এটাই হবে বড় টোটকা। 

    প্রতিবছরই তৃণমূলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী করা হয়। তবে এবার পরিস্থিতিটা কিছুটা ভিন্ন। সেকারণে জনসংযোগের উপর বিশেষ ভাবে জোর দিতে চাইছে তৃণমূল। নেতা মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের এই ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র যুবস্তরে যে নেতারা রয়েছে তাদেরও জনসংযোগে পাঠানো হচ্ছে। 

    তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলিকে একেবারে পুরোদমে মাঠে নামানো হচ্ছে। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে গোটা উৎসব পর্বজুড়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সবরকম জবাব দেবে তৃণমূল। মূলত একেবারে তৃণমূলস্তরে থাকা সাধারণ মানুষের মধ্য়ে যাতে এই প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রভাব যাতে দীর্ঘস্থায়ী না হয় সেটাই দেখা হচ্ছে। 

    তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অতীতেও দেখা গিয়েছে সন্দেশখালিতে থেকে বগটুই তৃণমূল দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোল করে। বিরোধীরা দাঁড়ানোর সুযোগ পায় না। এমনকী ভোটের বাজারে এই সব প্রতিবাদ আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়ে না। এমনকী দেখা যায় যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যত ক্ষোভ দানা বাঁধে ততই নতুন নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে সরকার। আর তারপরই বিপুল ভোটে জয়ী হয় ঘাসফুল শিবির। সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করে তৃণমূল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)