• ‘‌ঘরেতে অভাব’‌, মামলা–সহ সংসারের খরচ চালাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দীপ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ‘‌ঘরেতে অভাব পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া, পিঠেতে টাকার বোঝা তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া’‌। বাংলায় এই গানের লাইনটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এবার সেই লাইনেই হাঁটলেন আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। মামলা চালাতে খরচও হচ্ছে তাঁর। এই অবস্থায় এখন ঘরে অভাব দেখা দিয়েছে। পৃথিবীটা কালো ধোঁয়া মনে হচ্ছে। আর ব্যাঙ্কে আছে ফিক্সড ডিপোজিট। সেটা টাকা যাতে ছোঁয়া যায় তার জন্যই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপরই চলে আসে সামনে আর্থিক দুর্নীতি। হাসপাতালের একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে দেহ পাচারের মতো অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করে সন্দীপ ঘোষকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে জেরা করে ইডি। তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। কিন্তু সেগুলি নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। তাই ঘরেতে অভাব দেখা দিয়েছে।

    এখন মামলার খরচ চালাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সন্দীপ ঘোষ। ব্যাঙ্কে তাঁর রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট। আর এবার তা ভাঙতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি। এই মামলা বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক শুনতে পারেন। আবেদনে সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, পারিবারিক খরচ এবং মামলা–সহ একাধিক খরচ সামাল দিতে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হবে। অথচ ক্যানিং–২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলো বাড়ির হদিশ পায় ইডি। তারপর নিউটাউনের অন্তর্গত হাতিয়ারায় নোয়াপাড়ায় সন্দীপ ঘোষের একটি তিনতলা বাড়ির সন্ধান মেলে। বেলেঘাটায় দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধানও পান তদন্তকারীরা।

    এসবের মধ্যে থেকে একটি বেচে দিলেই তো বিপুল টাকা চলে আসবে। কিন্তু সেসব করার কথা তিনি আবেদনে উল্লেখ করেননি। ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙার কথা উল্লেখ করেছেন। কোন ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙবেন তিনি?‌ কত টাকা আছে সেখানে?‌ সেই টাকার উৎস কী?‌ উঠছে প্রশ্ন। প্রথমে আরজি কর হাসপাতালের মূল মামলায় গ্রেফতার না হলেও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। পরে অবশ্য আরজি কর হাসপাতালের মূল মামলা অর্থাৎ ধর্ষণ–খুনের ক্ষেত্রে তার অঙ্গুলিহেলন আছে অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)