• সুপ্রিম কোর্টের কোপ থেকে বাঁচতে RG কর থেকে সমস্ত সিভিক তুলে নিল পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • ঠেলার নাম বাবাজি! সুপ্রিম কোর্ট হলফনামা তলব করতেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যাহার করে নিল পুলিশ প্রশাসন। হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকা ২৯ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে সরিয়ে সেখানে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে শুনানিতে রাজ্যেকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। কোন অধিকারে কী প্রক্রিয়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ হয় তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

    আরজি কর কাণ্ডে খুন ও ধর্ষণে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ঘটনার পর ৯ অগাস্ট রাতে তাকে বিধাননগর কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের বারাক থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সঞ্জয় রায় যে মোটরসাইকেলটি চালিয়ে ঘুরে বেড়াত সেটিও কলকাতার পুলিশের পুলিশ কমিশনারের নামে নথিভুক্ত। তদন্তে আরও উঠে এসেছে ঘটনার দিন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের টাকায় সারা শহর ঘুরে ঘুরে মদ খেয়েছিল সঞ্জয়। এমনকী তার বিরুদ্ধে বধূনির্যাতনের অভিযোগ থাকলেও তাকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে নিয়োগ করেছিল কলকাতা পুলিশ।

    আগে থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসপাতাল বা স্কুলে মোতায়েন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকী এই নিয়োগের পিছনে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে না কি তাও জানতে চেয়েছে আদালত। হলফনামা পাওয়ার পর বিষয়টি তাঁরা গভীরভাবে খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পরই পিঠ বাঁচাতে ময়দানে নেমেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার হঠাৎ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে টালা থানা। যদিও গত ৯ অগাস্ট থেকে এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের দাবি ছিল, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশকর্মী মোতায়েন করতে হবে। তবে তাতে রাজি ছিল না রাজ্য সরকার। প্রথম শুনানি থেকেই বিষয়টি নিয়ে আদালতে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য পেশ করে চলেছে তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যালে সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে ২৯ জন স্থায়ী পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এবার দেখার সুপ্রিম কোর্টের কোপ থেকে বাঁচতে রাজ্যের অন্য হাসপাতালগুলিতেও প্রশাসন একই পদক্ষেপ করে কিনা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)