সন্দীপ-‘ঘনিষ্ঠ’ একটি সূত্রের খবর, ছেলেদের পড়াশোনা এবং আইনজীবীর টাকা মেটানোর জন্য তাঁর অর্থের প্রয়োজন। এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানত রয়েছে সন্দীপের। সেই টাকা ভাঙিয়ে খরচ চালাতে চান। কিন্তু সন্দীপ জেলবন্দি থাকার কারণে ওই টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাঙ্কের তরফে গ্রাহকের স্বাক্ষর চাওয়া হয়। জেল সূত্রে খবর, বন্দি সন্দীপকে দিয়ে স্বাক্ষর করাতে কর্তৃপক্ষ রাজি। কিন্তু ব্যাঙ্ক সেই সইয়ের ‘অথেন্টিকেশন’ (প্রামাণ্যতা) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সে কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই অবস্থায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যালে এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে সন্দীপকে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হয়। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ওই হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তারা সন্দীপকে গ্রেফতার করে। পরে আরজি কর হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগেও সন্দীপকে গ্রেফতার (শোন অ্যারেস্ট) করে সিবিআই। এখন প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন সন্দীপ। সেখান থেকেই তিনি নিজের স্থায়ী আমানত ভাঙানোর জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেছেন।