গত ৬ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’-এ যোগ দিয়েছিলেন অনিকেত। ১০ অক্টোবর অনশনমঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হুইলচেয়ারে বসিয়ে অনশনমঞ্চ থেকে তাঁকে বার করা হয়। নিয়ে আসা হয় আরজি কর হাসপাতালে। প্রথমে সিসিইউয়ে রাখা হয়েছিল অনিকেতকে। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ার এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল তাঁকে। অসুস্থ হওয়ার সাত দিনের মাথায় অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন তিনি।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অনিকেত বলেন, “ডাক্তারেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শগুলি আমি মেনে চলব। আন্দোলনের পাশে আমি রয়েছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বাকি বিষয়গুলিতে সিদ্ধান্ত নেব।”
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করার পর থেকেই অনিকেতকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা। তবে শারীরিক দুর্বলতা এবং রক্তচাপ ওঠা-নামা করার দিকটি নজরে রাখছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা অনিকেতের শারীরিক অবস্থার সব রিপোর্ট নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। এর পরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অনিকেতকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেও বেশ কিছু দিকে নজর রাখতে হবে তাঁকে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল বোর্ডের তরফে নতুন করে কিছু জানানো হয়নি। তবে বুধবারই আরজি করের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও শরীরের দিকে নজর রাখতে হবে অনিকেতকে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরেও ১০-১২ দিন তাঁর বিশ্রামে থাকা উচিত। ওই সময়ে খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর রাখতে হবে। তার পরে হাসপাতালের ডিউটিতে যোগ দিতে বা অন্য কাজকর্ম করতে পারবেন।