• কৃষ্ণনগর কাণ্ড: যৌন নিগ্রহের প্রমাণ মেলেনি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কৃষ্ণনগর কাণ্ডে আজ, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগুনে পোড়ার ফলে কার্বন শ্বাসনালিতে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর। দগ্ধ শরীর থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধও মিলেছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে অ্যাসিড হামলার প্রমাণ মেলেনি বলেই পুলিস সূত্রে খবর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ছাত্রীর শরীরে যৌন নিগ্রহের কোনও প্রমাণ মেলেনি। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতার  শরীরে বাইরে থেকে কোনও আঘাত বা শ্বাসরোধ করে খুনেরও প্রমাণ মেলেনি বলে খবর। তবে মৃতার দেহ যেখানে থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার পাশ থেকে একটি কন্টেনার এবং একটি দেশলাই বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এই বস্তুগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে।  

    এ প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকার (এডিজি দক্ষিণবঙ্গ) বলেন, “কৃষ্ণনগর সুপারের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই একটি সিট গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকালই মৃতার প্রেমিক রাহুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।”    

    প্রসঙ্গত, বুধবার নদীয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণপাড়ায় ওই ছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এরপর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মৃতার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতের নাম রাহুল বসু। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রাহুলের সঙ্গে বাইরে যায় ওই ছাত্রীটি। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির লোকের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়। এরপর থেকেই ছাত্রীটিকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আট মাস আগে রাহুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে তাঁদের এই সম্পর্কের কথা গোপন ছিল না। জানা গিয়েছে, অষ্টমীর দিন ওই ছাত্রীর বাড়িতেই দু’জনের ঝগড়া হয়। অভিযোগ, রাহুল প্রকাশ্যে ওই ছাত্রীকে হুমকিও দেয়। ঘটনার দিন ছাত্রীটি সমাজমাধ্যমে একটি লেখাও পোস্ট করে বলে জানা গিয়েছে। সে লিখেছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি নিজেই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো।” যদিও পরিবারের অভিযোগ, রাহুলই এই লেখাটি লিখেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)