পিয়ালি মিত্র: কৃষ্ণনগরে তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর প্রমাণ উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, রাত ১০ টা নাগাদ দুজনের মধ্যে ব্রেক আপ হয়। তারপর মেয়েটির প্রোফাইল থেকে পোস্ট হয়, তারপরই মেয়েটি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে অনুমান। ঘটনাস্থল থেকে দেশলাই বাক্স ও একটা কেরোসিনের বোতলও পাওয়া গিয়েছে। পাশের মন্ডপেই আগে যোগ্য হয়, সেখান থেকেই ওই ছাত্রী দেশলাই ও কেরোসিন জোগাড় করে বলে অনুমান। তবে আগে অন্য কয়েকজনের সঙ্গে তরুণীকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভিতে। সম্পর্কের জটিলতা জেরে এই ঘটনা বলে অনুমান।
এর আগেই প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তে তরুণীকে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণনগরের তরুণীর। তরুণীর দেহের নব্বই শতাংশ-ই পুড়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তেমনটাই ইঙ্গিত।
কল্যাণীর JNM হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের পুরো রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আরও স্পষ্ট জানা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এসপি অমরনা কে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলাও রুজু করা হয়েছে। সিট তদন্ত করছে। সমস্ত সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে এক তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ইতিমধ্যে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত তরুণীর প্রেমিক রাহুল বোসকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এক তরুণী-সহ আরও ২ জনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।