বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ জানান, এই শিশুদের মধ্যে ১১ জন কন্যসন্তান। ৭ জন পুত্রসন্তান আছে এদের মধ্যে। সব মা ও শিশুরাই সুস্থ আছেন। চারজনের ওজন কম থাকায় তাদের এন আই সি ইউতে রাখা আছে। তারাও ভাল আছে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে হাত মিলিয়ে এই চাপ সামলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তিনি আরও জানান, জমজ শিশুর জন্ম সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান মলয় সরকার জানান, রেফারেল হাসপাতাল হওয়ায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ প্রসব করাতে হয় এখানে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৮০ জনের মধ্যে একটি যমজ শিশু জন্মায়। এক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব প্রসব হয়েছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। তিনি জানান, চিকিৎসক, অজ্ঞান করার ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্স-সহ অন্যান্য কর্মীরা দারুনভাবে এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন।
আর এক চিকিৎসক ডা: সুপ্রতিক বসু জানান, ২ কেজি থেকে ২ কেজি ২০০ ওজন রয়েছে সদ্যোজাতদের। এদের বাবামায়ের বাড়ি বাঁকুড়া, হুগলি, নদীয়া। একজনের বাড়ি ঝাড়্গ্রামে। দুটি পরিবারের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলায়।
বর্ধমানের কাইতির বাসিন্দা কৃষ্ণা নায়েক। তার পরিবারে জোড়া কন্যা জন্মেছে। নাম দিয়েছেন লক্ষ্মী আর সরস্বতী। শিখা সাঁতরা জানান, তার ভাগ্নীরও জমজ শিশু জন্মেছে। দুই প্রসূতির আত্মীয়াই জানান, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা খুব ভাল। ডাক্তারবাবুরা খুব আন্তরিক।