ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্য পুলিস নয়, ভাঙড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা দায়িত্ব এখন কলকাতা পুলিসের। স্রেফ আলাদা ডিভিশন নয়, কেএলসি, ভাঙড়, কাশীপুর থানা ভেঙে তৈরি করা হয়েছে ৯ থানাও। সেই ভাঙড়েই কাঠগড়ায় পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের নলপুকুর নিজের পৈতৃক জমিতে আবাসন তৈরি করছেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও এই আবাসনের ঠিকাদারদের নাকি থানা তুলে নিয়ে দিয়েছে পুলিস! মালিককে থানায় দেখা করতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সাবিরুল ইসলাম ওরফে রিন্টু। পুলিসের বিরুদ্ধে রীতিমতো স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তিনি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার দাবি, কলকাতা পুলিস দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভাঙড়ে যেকোন নির্মাণ কাজের জন্য় পুলিসকে টাকা দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, 'ভাঙড়ে সাধারণ মানুষকে ঘর বা দোকান করতে গেলে যেন বাধার মুখে পড়তে না হয়'।
এর আগে, ভাঙড়ে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিজয়গঞ্জ বাজারে কর্মিসভার তিনি বসেছিলেন, 'দু'একজন যাঁরা আছেন, অফিসার আছেন, তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় পুলিসকে কলঙ্কিত করছেন, তোলা তুলছেন'।