পরিবারের অভিযোগ , "সকাল থেকে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সময়ের পর সময় দিচ্ছে। দুপুরের দিকে তাদের জানানো হয় মৃত সদ্যোজাতকে পাওয়া যাচ্ছে না"৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে শিলিগুড়ি থানার পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে মৃত বাচ্চাটির সন্ধান চালাচ্ছে পুলিস ও হাসপাতাল প্রশাসন৷ কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান , গতকাল প্রসবের পর মৃত বাচ্চাটি ট্রেতে রাখা ছিল। সকালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টের ব্যাগে চলে গিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে সেই সময় যারা কর্মরত ছিল তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিকে দিয়ে তদন্ত করা হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এমডি এহেশাম বলেন , "গতকাল আমাদের জানানো হয়েছে বাচ্চাটি আগেই মারা গিয়েছে৷ মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে৷ আমাদের সকলকে তা দেখানো হয়েছে৷ গতকাল প্রসবের পর চার ঘন্টা পর বাচ্চাটিকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক ছিল না বলে আমরা আজ সকালে নেওয়ার কথা জানাই। সকাল থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন মানুষ শুধু ঘুরিয়ে যাচ্ছে আমাদের। পরে গিয়ে তারা স্বীকার করল তারা বাচ্চাটিকে খুঁজে পাচ্ছে না । কুকুর বেড়ালের বাচ্চা নয় , মানুষের বাচ্চা কি করে হারিয়ে গেল ? এর উত্তর তাদের দিতেই হবে।"
অন্যদিকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল সুপার অমিত দত্ত বলেন , "মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে৷ পরিবারকে তা দেখানো হয়েছে। তবে আজ সকাল থেকে তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল ইন্টারনেটে সুইচ বন্ধ ছিল কাজেই সিসিটিভিতে তেমন কোন ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ তবুও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সকালে সাফাই কর্মীদের জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। অনেক সময় বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্টের ব্যাগে রাখা হয়। কিন্তু তার রঙ আলাদা। সেখানেই কোন গোলমাল হয়েছে কি না সবটাই তদন্ত করা হচ্ছে৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা বিষয়টি৷ অবশ্যই গাফিলতি রয়েছে না হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না।"