ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি আন্দোলনে অন্যতম মুখ সুবর্ণ গোস্বামী। প্রথম থেকে জুনিয়র চিকিত্সকদের পাশে রয়েছেন তিনি। সেই সুবর্ণকেই নিশানা করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। 'বাম আমলের ডাক্তারি ছাত্র খুন ও পর্ন চক্রের পাণ্ডা’ বলে পোস্ট তৃণমূল নেতার'। ২০০১ সালের ২৫ অগাস্ট আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। অভিযোগ ওঠে হস্টেলে পর্ণ চক্র চালাত এসএফআই। সেদিন ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন আরজি করের এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী।
দেবাংশু লেখেন, 'বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল সেই বিষয়ে, কিন্তু বিচার পায়নি সৌমিত্রর মা। সেদিন কোনো We Want Justice বলে আন্দোলনও হয়নি। বরং সেদিন ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন আর জি করের এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী। হ্যাঁ, সেই একই ব্যক্তি যিনি তিলোত্তমা কাণ্ডে গলার শিরা ফুলিয়ে ১৫০ গ্রামের থিওরি বলেছিলেন। সেদিনের ছাত্র খুন ও পর্ণ চক্রের মূল পান্ডা আজকের আন্দোলনের প্রধান মুখ'! সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দেবাংশুর। এরপর পাল্টা মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন সুবর্ণ গোস্বামীও।
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, 'আমার বা কোনও এসএফআই কর্মীর নামে কোনওরকম অভিযোগ ওঠেনি। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়নি। বরং ছেলেটির মা বলেছিলেন, আমার ছেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যদিও পরে প্রমাণিত হয় ছেলেটি আত্মহত্যাই করেছিল। তবে এই ধরনের কুত্সা যারা করছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে।'
প্রসঙ্গত বলা হচ্ছে, ২৩ বছর আগের ঘটনা। আরজি কর হাসপাতালের এক ডাক্তার পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মৃতের মা সবিতাদেবী অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের পর্নোগ্রাফি চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই খুন হতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। এমনকী দুবেজি, ধরবাবু এবং গোঁসাই ঠাকুর - এই তিন এসএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যৌনকর্মী ভাড়া করে এনে শ্যুটিং করার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করে তৎকালীন সিআইডি অফিসাররা।যদিও আরজি কর হাসপাতালের তখনকার শীর্ষ এসএফআই নেতা ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এসব অভিযোগ মিথ্যে বলেছিলেন।