জানা গিয়েছে, ১০ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর এই সময়কালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। উল্লেখ্য, এই সময়জুড়ে কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্ন সূত্রের খবর, এই কর্মবিরতির জেরে ওই সময়কালে স্বাস্থসাথী খাতে গড়ে দৈনিক ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, আন্দোলনের জেরে দৈনিক ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বাড়তি গুনতে হয়েছে রাজ্যকে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হওয়া এক সমীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি নিজেদের ব্যবসা বাড়াতেই জুনিয়র ডাক্তারদের মদত দিচ্ছে কর্পোরেট লবি? নাকি সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সাধারণের মনে যে আস্থা তৈরি হয়েছে তা সুকৌশলে ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়েছে? ধন্দে সরকারি ডাক্তারদের একাংশ। তাঁদের মনেও প্রশ্ন, কেন কর্পোরেট হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ জুনিয়রদের আন্দোলন যেনতেন প্রকারেণ বজায় রাখতে এত মরিয়া হয়েছে?
উল্লেখ্য, ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রথম এই সংক্রান্ত খবর করে তথ্য দিয়ে জানিয়েছিল, লাগাতার কর্মবিরতির জেরে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের একাংশ মুখ ফিরিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। এর জেরে বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা যে ৪০ শতাংশ বেড়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন। এবার জুনিয়রদের কর্মবিরতির জেরে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লক্ষ্মীলাভের তথ্য আরও জোরালো হল।