এই সময়: আইনি লড়াইয়ের খরচ তুলতে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার চারটি ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙানোর আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরজি কর মামলায় ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। এর মধ্যে তিনটি এফডি ম্যাচিওর হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। অন্যটি ২০২৭ সালে। গত ১১ অক্টোবর সন্দীপের স্ত্রী পুরো বিষয়টি উল্লেখ করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মেল করেন। জানতে চান, সময়ের আগে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙাতে কী করণীয়? কিন্তু কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি।এদিকে, পুজোর ঠিক আগে এই মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার পরে জেলে গিয়ে ধৃত সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। আজ, শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে দু’জনকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রতির রিপোর্টও পেশ করতে পারেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
তবে অভিজিৎ এবং সন্দীপের নামে চার্জশিট না হলেও তাঁদের একেবারে ‘ক্লিনচিট’ দেয়নি সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, দু’জনেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা অনেক কিছুই গোপন করছেন। ওই ঘটনায় তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তা স্পষ্ট নয়। সে কারণে নার্কো টেস্ট করতে তৎপর গোয়েন্দারা। নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের টেস্ট করতে হলে অভিযুক্তের সম্মতি রয়েছে কি না, তা বিচারক জানতে চান। অভিযুক্ত সম্মতি না দিলে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ঠিক যেমন হয়েছিল সঞ্জয়ের রায়ের ক্ষেত্রে। পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য সায় দিলে, নার্কো টেস্টে রাজি হয়নি মূল অভিযুক্ত।
শিয়ালদহ আদালতের পরে ৪৫ পাতার চার্জশিটের কপি ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টেও জমা দিয়েছে সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কার কী কী ভূমিকা ছিল, সে সব উল্লেখ থাকতে পারে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। এর আগে ধৃত দুজনকে কখন নিরাপত্তার কারণে, আবার কখন ফরেন্সিক এক্সপার্টের সময় না পাওয়ায় আদালতে হাজির করা যায়নি। শুক্রবার অবশ্য তাঁদের পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, দু’জনকে আদালতে হাজির করতে সমস্ত রকমের প্রস্তুতিও সেরে রাখছেন জেল কর্তৃপক্ষ। আদালতের শুনানির আগে বৃহস্পতিবার ফের আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেখানে গিয়ে তাঁরা বেশ কিছু নতুন তথ্য সংগ্রহ করেন।