• কৃষ্ণনগরে ফরেন্সিক দল। হাই কোর্টে সন্দীপ-মামলা। নবান্ন বনাম জুনিয়র ডাক্তার স্নায়ুযুদ্ধ। আর কী কী নজরে
    আনন্দবাজার | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ কৃষ্ণনগরে যেতে পারে বিশেষ ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল থেকে আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার এক দফা নমুনা সংগ্রহের কাজ হয়েছে। পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন। সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দাবি করেছেন, জীবিত অবস্থাতেই তরুণীর গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি নিজে আগুন দিয়েছিলেন, না কি অন্য কেউ বা তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। এই তদন্তের দিকে আজ নজর থাকবে।

    ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও সরকারি হাসপাতালকে নিয়ে আজ বৈঠক ডাকল রাজ্য। নবান্নের ওই বৈঠকে থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদেরও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যাঁরা সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন না, তাঁদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মুখ্যসচিব মনোজ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। নবান্ন সূত্রে খবর, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে যে পদক্ষেপগুলির কথা বলা হয়েছিল, সেই কাজ কত দূর এগিয়েছে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পরেই আজ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব।

    নবান্ন বনাম জুনিয়র ডাক্তারদের স্নায়ুযুদ্ধ থামার কোনও নামই নেই! ১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলার মঞ্চে ‘আমরণ অনশনে’ জুনিয়র ডাক্তারেরা। সমাধানসূত্র খুঁজতে রাজ্য সরকারের তরফ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এক বার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বটে। কিন্তু তা ‘নিষ্ফল’ হয়েছে বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ভবনে সেই বৈঠকের পর তাঁরা যা দাবি করেছিলেন, তা থেকে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, পুজোর পর অচলাবস্থা কাটাতে ফের উদ্যোগী হতে পারে রাজ্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সে রকম কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। স্নায়ুযুদ্ধ আর কত দিন চলবে, তা নিয়ে জল্পনা থেকেই যাচ্ছে। আজ সরকারের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের কোনও বার্তা দেওয়া হয় কি না, সে দিকে নজর থাকবে।

    ১০ দফা দাবি নিয়ে ‘আমরণ অনশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আজ তাঁদের অনশন ১৪ দিনে পড়ল। একাধিক জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনিকেত মাহাতো। আপাতত ডাক্তারদের পরামর্শ মতো চলতে হবে তাঁকে। দেওয়া হয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার ওষুধ। এখনও পাঁচ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে (কলকাতায় তিন জন এবং উত্তরবঙ্গে দু’জন)। ধর্মতলায় অনশনে বসে রয়েছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। শিলিগুড়ির অনশনমঞ্চে আপাতত রয়েছেন এক জনই। অনশনরত সকলেরই শরীর কম-বেশি দুর্বল। অনশনকারীদের মূত্রে কিটোন বডির মাত্রা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া অনিকেত বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আজ কোন দিকে মোড় নেবে পরিস্থিতি? নতুন করে আলোচনার কোনও পথ কি খুলবে? নজর থাকবে সেই খবরে।

    আর্থিক সঙ্কট চলছে। আইনজীবীর টাকা (ফিজ়) দিতে হিমশিম অবস্থা! ব্যাঙ্কে নিজের স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) ভাঙাতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ব্যাঙ্ক থেকে ২০ লক্ষ টাকা তুলতে চেয়ে একাধিক স্থায়ী আমানত ভাঙাতে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। আজ বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)