প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে ৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভোরে যখন হাসপাতালে আগুন লাগে, তখন অনেকেই ঘুমিয়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ রোগীকেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগুনের সম্ভাব্য উৎসস্থল মেল সার্জারি ওয়ার্ডের আশপাশ থেকে তো বটেই, আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তিন তলা থেকেও রোগীদের নামিয়ে আনা হয়। কোনও কোনও রোগীকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ হতাহত না হলেও কালো ধোঁয়ায় এক রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। দমকলমন্ত্রী বলেন, “পুজোর কারণে অনেক রোগীই ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। বড় ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। দমকলকর্মীরা সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন।”
প্রাণহানি না ঘটলেও হাসপাতালের পরিকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, তা স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখবে দমকল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো, শুক্রবার হাসপাতালের বহির্বিভাগ (আউটডোর) বন্ধ থাকবে। কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার আগেই দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই চিকিৎসার কারণে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। তাঁদের ফিরে যেতে হয়। অন্য দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন চিকিৎসাধীন রোগীর পরিজনেরা। আতঙ্কে অনেকেই কেঁদে ফেলেন। তবে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত আর ভয়ের কারণ নেই।