জয়নগর কাণ্ডে ধর্ষণের প্রমাণ মিলল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে
এই সময় | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়, কুলতলি: জয়নগরে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৯ বছরের এক ছাত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় এলাকার এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ছাত্রীর বাড়ির লোকের দাবি ছিল, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না দেখে পুলিশ ধর্ষণের কথা মানতে চায়নি।এই নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়েছিল। মহিষমারি ক্যাম্পের পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ভাঙচুর করে ক্যাম্পে আগুনও লাগিয়ে দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত ছাত্রীর ময়না-তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল বুধবার। সেখানে ধর্ষণের উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে গ্রামের তিনজনের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। মৃত ছাত্রীর বাবাও এ দিন আদালতে এসেছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকরা কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে জয়নগরের নির্যাতিতা ছাত্রীর দেহ ময়না-তদন্ত করেন। হাইকোর্টের নির্দেশেই খুনের ঘটনায় পকসোর ৬ নম্বর ধারা যোগ করেছিল পুলিশ। যদিও ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর থেকে তার বাড়ির লোকের দাবি ছিল, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
কিন্তু পুলিশ কেন তা মানেনি, এখন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নাবালিকার বাড়ির লোক জানান, নাবালিকার শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন ছিল। এর পরেও প্রথমে পুলিশ ধর্ষণের ধারা যোগ করেনি। নাবালিকার বাবা বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই দাবি করেছি যে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এইমসে ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার প্রমাণও মিলেছে। আমি চাই দ্রুত দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’
এ দিকে, ধৃতকে আজ, শুক্রবার জয়নগর থানার পুলিশ হেফাজত থেকে আলিপুর জেলা আদালতে পাঠানো হবে। বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, ‘ধৃত তার নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে। আমরা ইতিমধ্যে খুনের পাশাপাশি পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছি। এক মাসের মধ্যেই চার্জশিট দিয়ে দেওয়া হবে।’