পানাগড় বাজারে রাস্তা দখল করে চলছে ব্যবসা, নিত্য যানজটে সমস্যায় বাসিন্দারা
বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, মানকর: কাঁকসার মূল বাণিজ্য কেন্দ্র পানাগড় বাজার। বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি রয়েছে পুরনো গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনাবেচার মার্কেট। এই বাজারের মধ্যে দিয়েই চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। যদিও এখন সেই রাস্তা পুরনো জাতীয় সড়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাসিন্দারা জানান, তখনের যানজট ছিল আতঙ্কের। পানাগড় বাইপাস তৈরি হওয়ার পর সেই যানজট থেকে মুক্তি মিলেছে। বাইপাস দিয়েই এখন বেশিরভাগ গাড়ি যাতায়াত করে। একমাত্র বাসগুলি পুরনো জাতীয় সড়ক দিয়ে যায়। অভিযোগ পানাগড় বাজার এলাকার পুরনো জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন রাস্তা দখল করে চলছে ব্যবসা। রাস্তায় রাখা থাকে বাইক। ফলে নিত্য যানজটে পড়ছে সাধারণ মানুষ থেকে যাত্রীরা। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, বহু মানুষ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছে। বাজারের রাস্তার ধারে অনেকটা জায়গা বেআইনিভাবে দখল হচ্ছে। বিশেষ করে কাবাডিপট্টিতে রাস্তার উপর পুরনো গাড়ির যন্ত্রাংশ রাখা হচ্ছে। ফুটপাত সম্পূর্ণ দখল হয়ে গিয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দিনে বাজার এলাকায় মানুষের ভিড় অনেকটাই বেশি থাকে। বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার একাধিক বাস চলে। তার উপরে টোটোর অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াতের কারণে অফিসের সময় ও বিকেলের দিকে যানজট হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত দখল করে অসংখ্য দোকান গজিয়ে উঠছে। অনেকে রাস্তার উপরেই বসে জিনিস বিক্রি করছে। বড় গাড়ি গেলে সরে দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
দার্জিলিং মোড় থেকে পানাগড় বাজারের পুরনো জাতীয় সড়কটির দু’পাশে বহু গ্যারেজ ও দোকান রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় পাণ্ডে বলেন, প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে, রাস্তা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, স্কুল, ব্যাঙ্ক, বিভিন্ন সরকারি অফিসে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পানাগড় বাজারের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে। শুধু কাঁকসা নয় সিলামপুর, ভরতপুর, রণডিহা সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারাও পানাগড় বাজারের উপরেই নির্ভর করেন। তাছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনবসতি বেড়েছে পানাগড়ে। ফলে রাস্তা চওড়া থাকলেও তা ছোট হয়ে যাচ্ছে দখলদারির জেরে। পানাগড় চেম্বার অব কমার্সের তরফে রতন আগরওয়াল বলেন, রাস্তা দখল করে ব্যবসা করা কখনই কাম্য নয়। প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আছি। মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তা দেখা দরকার।-নিজস্ব চিত্র