সংবাদদাতা, বারুইপুর: দীপাবলির আগেই বারুইপুরের হাড়াল থেকে উদ্ধার হল বস্তা ভর্তি ৩ হাজার পিস চকোলেট বোমা। অবৈধ কারবারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের পরে প্রশ্ন উঠেছে, ফের কি জোরকদমে বাজির কারবার শুরু হয়েছে গোটা হাড়াল জুড়ে? যদিও হাড়ালের বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের এক কর্তা বলেন, কোনও নিষিদ্ধ বাজি তৈরি হচ্ছে না। যাঁরা লুকিয়ে এই কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইন আইনের পথে চলবে। বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিস খবর পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, বুধবার রাতে হাড়াল থেকে বাজি অটো করে উস্থি থানা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিসের বিশেষ টিম রাস্তায় সেই অটো বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতদের নাম মোজারুল শেখ ও প্রহ্লাদ হালদার। এদের বাড়ি উস্থি থানা এলাকাতেই। ২০ হাজার টাকায় বাজি কিনে এরা বিক্রির জন্য উস্থিতে নিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে, হাড়ালের অলিগলিতে অনেকেই লুকিয়ে আবার নিষিদ্ধ বাজি তৈরিতে নেমেছেন বলে অভিযোগ। সেই বাজি রাতের অন্ধকারে নতুবা ভোরের দিকে গাড়ি করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী, অনেক কারখানাতেও বাইরে থেকে লোক এনে নিষিদ্ধ বাজি তৈরি হচ্ছে। এসবের মধ্যেই হাড়াল থেকে বস্তা ভর্তি বাজিও উদ্ধার করল পুলিস। প্রসঙ্গত, গত বছর বারুইপুর থানার পুলিস হাড়ালে পোল্ট্রি ব্যবসার আড়ালে বাজি কারখানার হদিশ পেয়েছিল। নিজস্ব চিত্র