• গঙ্গার তোড়ে ভেঙেছে নিমতলা ঘাট 
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিমতলায় গঙ্গার ভাঙনের জেরে কংক্রিটের ঘাটের একাংশ অনেকদিন ধরেই ভাঙছে। সিঁড়ি ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। ঘাটের সামনের যে অংশের কংক্রিট ভেঙে গিয়েছে তার ফাঁক গলে বিপজ্জনকভাবে বেরিয়ে রয়েছে লোহার রড। গঙ্গার জলের তোড়েই ভেঙেছে ঘাটের ওই অংশ। জল কম থাকলে ভেঙে পড়া জায়গাটি চোখে পড়ে। তবে জলস্তর বাড়লে তা ডুবে থাকে। তখন সেই জায়গা দিয়ে নদীতে নামলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এবার বিপত্তি এড়াতে নিমতলা ঘাটের একাংশ লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুরসভা ‘বিপজ্জনক’ লেখা সতর্কতামূলক পোস্টারও টাঙিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ পুরসভাকে আশ্বস্ত করেছে, পুজোর মরশুম শেষ হলে ঘাট সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।


    স্থানীয়দের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিমতলা ঘাটে স্নান করতে নেমে অনেকেরই পোশাকআশাক ছিঁড়েছে। ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার দাবি, এই ঘাট কলকাতা বন্দরের আওতাধীন। ঘাটটির বেহাল দশা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্কও করছে পুর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি দুর্গাপুজোর আগে শহরের বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয় পুরসভায়। সেখানে নিমতলা ঘাটের বিপজ্জনক অংশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তারপর পুর কমিশনার ধবল জৈন, পুরসভা ও বন্দরের আধিকারিকদের নিয়ে নিমতলা ঘাট পরিদর্শনে যান। তারপর ঠিক হয়, প্রতিমা বিসর্জনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে ঘিরে ফেলা হবে ঘাটের ভাঙা অংশটি। নিমতলা ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গা পাড়ে ঢালু ঘাট রয়েছে। তার পাশে রয়েছে ওঠানামার সিঁড়ি। সেই জায়গার একাংশ বিপজ্জনকভাবে গিয়েছে ভেঙে। সেখানটি লোহার মোটা পাইপের রেলিং দিয়ে আপাতত ঘিরে রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর কলকাতা পুরসভা সতর্কতামূলক পোস্টারও টাঙিয়ে দিয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, আমরা পোস্টার দিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছি। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বিপুল ভিড় হয়েছিল। তাই এই পদ্ধতিতে জায়গাটি ঘিরতে হয়েছে। ফলে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাট ফেলে রাখা যায় না। তাই বন্দরের কাছে তদ্বির করা হচ্ছে। ওরা জানিয়েছে, উৎসব মিটে যাওয়ার পর ঘাট সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)