নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরে বুধবার শহরে দেদার নারকেল নাড়ু বিক্রি হয়। ফলে বৃহস্পতিবার পুজো থাকা সত্ত্বেও দোকানে গিয়ে নারকেল নাড়ু না পেয়ে অনেক ক্রেতাই হতাশ। লক্ষ্মীপুজোয় নারকেল নাড়ু অন্যতম একটি উপাচার। শহরের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, এমনিতেই নারকেলের দাম আকাশ ছোঁয়া। তার উপর রয়েছে নারকেল নাড়ু তৈরি করার নানান ঝক্কি। ফলে অনেকেই লক্ষ্মীপুজোয় বাজার থেকে প্যাকেটবন্দি নারকেল নাড়ু কিনে থাকেন। একেকটি প্যাকেটে থাকে দশটি করে নাড়ু। এবার দু’দিন ধরে লক্ষ্মীপুজো পড়েছিল। বুধবারই কেউ কেউ তিন প্যাকেট থেকে সাত-আট প্যাকেট করে নারকেল নাড়ু কিনে নিয়ে যান। ফলেই বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দোকান থেকে উধাও হয়ে যায় নারকেল নাড়ু। এদিন উত্তর শহরতলি সহ উত্তর কলকাতার বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে খই, তিল, মুড়ি, মুড়কি সহ নানান নাড়ু ও মোয়া রয়েছে। কিন্তু অমিল নারকেল নাড়ু। শ্যামবাজার, শোভাবাজার, বাগবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অনেক দোকানে নেই নারকেল নাড়ু। কেউ কেউ দোকানদারদের কাছে আবেদন করতে থাকেন, অন্তত এক প্যাকেট নারকেল নাড়ু জোগাড় করে দিন। একই ছবি শহরতলির বরানগর, আলমবাজার, টবিন রোড সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।
এদিন বাগবাজারের বাসিন্দা তপতী মণ্ডল নামে এক বধূ শ্যামবাজারে এসেছিলেন লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব কিছুই পেলাম। কিন্তু নারকেল নাড়ু পেলাম না। দুই বছর ধরে লক্ষ্মীপুজোয় দোকান থেকেই নারকেল নাড়ু কিনে আনছি। কিন্তু এবার হয়ত চাহিদা বেশি, তাই নাড়ু পেলাম না। রবীন্দ্র সরণির বাসিন্দা মাখন মাইতি বলেন, এবার বাড়িতে নারকেল নাড়ু তৈরি করতে পারিনি। তাই দোকান থেকে কিনব বলে এসেছি। কিন্তু পেলাম না। কী আর করা করা যাবে! চুনিবাবু বাজার ও দমদম বাজারের দুই ব্যবসায়ী কাজল পাল ও সনাতন চক্রবর্তী বলেন, চাহিদা বেশি থাকলে যা হয়। এবার অনেকেই প্যাকেটবন্দি নারকেল নাড়ু না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন।