• সিভিক প্রত্যাহার শুরু আরজি কর-সহ সব সরকারি হাসপাতালে
    এই সময় | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়: সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ধাপে ধাপে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রত্যাহার করতে শুরু করল রাজ্য। তাঁদের জায়গায় কাজে লাগানো হচ্ছে কনস্টেবলদের। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তারের পর থেকে সিভিকদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্নের মুখেও পড়ে রাজ্য। তিনি জানতে চান, কোন আইনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, তাঁদের যোগ্যতা কী, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়, পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা পেশ করে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে। সেই সঙ্গে স্কুল এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এর পরেই রাজ্যের হাসপাতালগুলি থেকে ধাপে ধাপে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রত্যাহার করা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি থেকে মোট ২৯ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতার এসএসকেএম, মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস সহ সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে সিভিকরা সরে গিয়েছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল থেকেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরানো হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

    ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডিউটিতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। উদয়নারায়নপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও একই ছবি। অন্যদিকে, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ, বসিরহাট জেলা হাসপাতাল, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘ধাপে ধাপে অন্য হাসপাতাল থেকেও সিভিকদের তুলে নেওয়া হবে।’

    দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের আর ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেসরকারি এজেন্সির নিরাপত্তা কর্মীরা রয়েছেন। সেখান থেকেও সিভিক সরানো হচ্ছে। যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল, ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বীরপাড়া হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়ারা এখনও ডিউটি করছেন। এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন ‘এখনও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দেশ পাইনি। সে ভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’

    ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামিম বিশ্বাস বলেন,‘ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক অফিসারের নেতৃত্বে মোট ১৯ জন পুলিশ কর্মী ইনডোর ডিউটি করেন। আর সিভিকরা হাসপাতালের বাইরে ডিউটি করে। সিভিকরা হাসপাতালের ইনডোরে ডিউটি করেন না।’
  • Link to this news (এই সময়)