দমকল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ৫১, ক্যানাল ইস্ট রোডের ঠিকানায় অবস্থিত ওই পরিত্যক্ত কারখানাটির পাঁচিলের ধার ঘেঁষে রাখা তিনটি ট্যাঙ্কার থেকে এ দিন ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যে দেখা যায় আগুনের শিখা। এলাকার এক বাসিন্দা সোমনাথ সেন বলেন, ‘‘কারখানার পাঁচিল লাগোয়া আমার বাড়ি। হঠাৎ দেখি, আগুনের শিখা এতটাই উঁচু হয়ে গিয়েছে যে, কারখানার ভিতরে থাকা গাছের পাতাও জ্বলতে শুরু করেছে। আশপাশের লোক আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে দমকল দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায় আগুন ছড়াতে পারেনি।’’
জানা গিয়েছে, কয়েক বিঘা জমি জুড়ে থাকা ওই কারখানায় এক সময়ে লোহার সামগ্রী গলানোর কাজ হত। ২০১৮ সালে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। এখনও সেখানে অ্যাসিড-সহ বিভিন্ন রাসায়নিকের চৌবাচ্চা রয়েছে। যদিও সেগুলি আর কাজে লাগে না। কারখানা চত্বর ভরেছে আগাছা ও জঙ্গলে। তারই মধ্যে ফাঁকা জায়গায় তিনটি ট্যাঙ্কার দাঁড় করানো ছিল। পাশেই কারখানার পাঁচিলের অন্য পারে বসতি এলাকা। সেখানে পুজোর মণ্ডপ করা হয়েছিল। দমকলের এক আধিকারিক তরুণকুমার দত্ত বলেন, ‘‘আগুন মণ্ডপ ছুঁলে বসতি এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কেন ট্যাঙ্কারগুলি এ ভাবে রাখা আছে, তাতে কী ধরনের রাসায়নিক রাখা ছিল— সবই খতিয়ে দেখা হবে।’’