চন্দননগর স্টেশনে ঢোকার মুখেই রেলের জায়গায় প্রায় ৩ দশক ধরে ব্যবসা করে খাচ্ছেন ৫০ এর বেশি হকার। এর আগেও তারা উচ্ছেদের নোটিস পেয়েছিলেন। চন্দননগর হকার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক দেবব্রত দে বলেন, আমরা ১৯৯২ সাল থেকে রেলের কাছে আবেদন করেছি। রেলকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে আমরা ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু সেই কথা রেল শোনেনি। ডিআরএম থেকে রেলমন্ত্রী সর্বত্র জানানো হয়েছে। তারপরও কোনো সমাধান হয়নি। তাই আইনি পথে আমরা যাই। হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্ট রেলের পক্ষে রায় দেয়। আমরা গত মাসে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করি। সেই মামলার আজ শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্ট স্টে অর্ডার দিয়েছে। উচ্ছেদ হলে পরিবারগুলোর চলবে কী করে।
হকার সংগঠনের পক্ষে সিআইটিইউ এর বিশ্বজিৎ মুখার্জি বলেন,পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যায় না। রেল সে কথা শুনছিল না। সুপ্রিম কোর্টে আজকে স্টে অর্ডার হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে কোনো উচ্ছেদ করা যাবে না।
অমৃত ভারত প্রকল্পের অন্তর্গত রেল স্টেশন গুলোকে আধুনিক করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে চন্দননগর স্টেশনেরও।
সিটু নেতা ঐক্যতান দাশগুপ্ত বলেন,মানুষের জন্য উন্নয়ন মানুষকে বাদ দিয়ে কখনো উন্নয়ন হয় না। সুপ্রিম কোর্টের যে রায় রয়েছে হকার উচ্ছেদের বিষয় তাকে মানতে চায় না রেল। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেল পুলিশের আধিকারিকরা এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।