• হকারদের বিক্ষোভের মধ্যেই হাজির বিশাল পুলিস বাহিনী-জেসিবি, আচমকাই বদলে গেল পরিস্থিতি...
    ২৪ ঘন্টা | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • বিধান সরকার: গত ৪ অক্টোবর চন্দননগর স্টেশন সংলগ্ন হকারদের উচ্ছেদের জন্য একটি নোটিশ ধরানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর এর মধ্যে রেলের জায়গা দখল করে রাখা হকারদের উঠে যেতে বলা হয়। আজ সকালে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও জেসিবি মেশিন নিয়ে এসে হকার উচ্ছেদ করতে যায় রেল। অভিযানের শুরুতেই বাধার মুখে পড়তে হয় রেল পুলিসকে। রেল পুলিসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বচসা হয় হকারদের। বাম বিজেপি কর্মীরাও জড়ে হয়। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে হকার উচ্ছেদ করা যাবে না এই দাবিতে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

    চন্দননগর স্টেশনে ঢোকার মুখেই রেলের জায়গায় প্রায় ৩ দশক ধরে ব্যবসা করে খাচ্ছেন ৫০ এর বেশি হকার। এর আগেও তারা উচ্ছেদের নোটিস পেয়েছিলেন। চন্দননগর হকার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সম্পাদক দেবব্রত দে বলেন, আমরা ১৯৯২ সাল থেকে রেলের কাছে আবেদন করেছি। রেলকে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে আমরা ব্যবসা করতে চাই। কিন্তু সেই কথা রেল শোনেনি। ডিআরএম থেকে রেলমন্ত্রী সর্বত্র জানানো হয়েছে। তারপরও কোনো সমাধান হয়নি। তাই আইনি পথে আমরা যাই। হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্ট রেলের পক্ষে রায় দেয়। আমরা গত মাসে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করি। সেই মামলার আজ শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্ট স্টে অর্ডার দিয়েছে। উচ্ছেদ হলে পরিবারগুলোর চলবে কী করে।

    হকার সংগঠনের পক্ষে সিআইটিইউ এর বিশ্বজিৎ মুখার্জি বলেন,পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যায় না। রেল সে কথা শুনছিল না। সুপ্রিম কোর্টে আজকে স্টে অর্ডার হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে কোনো উচ্ছেদ করা যাবে না।

    অমৃত ভারত প্রকল্পের অন্তর্গত রেল স্টেশন গুলোকে আধুনিক করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে চন্দননগর স্টেশনেরও।

    সিটু নেতা ঐক্যতান দাশগুপ্ত বলেন,মানুষের জন্য উন্নয়ন মানুষকে বাদ দিয়ে কখনো উন্নয়ন হয় না। সুপ্রিম কোর্টের যে রায় রয়েছে হকার উচ্ছেদের বিষয় তাকে মানতে চায় না রেল। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেল পুলিশের আধিকারিকরা এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)