আর জি করের এমআরআই যন্ত্রের গুণগত মান কেমন? CBI সুপারিশে তদন্তে স্বাস্থ্যভবন
প্রতিদিন | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: সন্দীপ ঘোষের জমানায় আর জি করের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের এমআরআই যন্ত্রের গুণগত মান কতটা সঠিক, তা বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবে। এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যভবনের। এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে সিবিআই। সন্দীপ জমানায় কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতির খতিয়ানে উঠে এসেছে ট্রমা কেয়ারের এমআরআই মেশিন-সহ বেশ কয়েকটি জীবনদায়ী যন্ত্র এবং ওষুধ। ২০২২ সালে রোগী কল্যাণ সমিতি এবং ট্রমা কেয়ারের চিকিৎসকদের অনুরোধ মেনে এমআরআই মেশিন কেনা হয়। সিবিআই আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই প্যান্ডোরার বাক্সের মতো আর্থিক বেনিয়মের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটা নিয়ে নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ (স্বাস্থ্যভবন)-র গোচরে বিষয়টি আনা হয়েছে। আর এই ঘটনায় উঠে এসেছে দুই চিকিৎসক ডা.দেবাশিস সোম এবং অ্যানাস্থেশিয়ার সহকারী অধ্যাপক ডা. সুজাতা ঘোষের নাম। উল্লেখ্য, ২০২২ থেকেই ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দায়িত্বে। কিন্তু কলেজে কর্তৃপক্ষের দাবি, এই দুজনের কেউ হাসপাতালের টেন্ডার কমিটির সদস্য নয়। কিন্তু এমআরআই মেশিন কেনার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা ছিল-এমনটাই অভিযোগ খোদ স্বাস্থ্যভবনের।
সিবিআইয়ের প্রস্তাব মেনে দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যদপ্তর কোনও পদক্ষেপ নেবে কি না বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে এমআরআই যন্ত্র কেনার পর কতবার স্লাইস(রিপোর্ট) পাওয়া গিয়েছে? সেই এবং গুণগত মান দেখা হবে। কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন স্বাস্থ্য ভবন পরীক্ষা করবে। কলেজ বা হাসপাতালের কোনও ভূমিকা নেই। এদিন ডা.সুজাতা ঘোষের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। আর জি করের বর্তমান অধ্যক্ষ ডা.মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “স্বাস্থ্য ভবন তদন্ত করবে। একাধিক অভিযোগ আছে। সব তথ্য পাঠানো হয়েছে।”
এর মধ্যেই আরও একটি তথ্য সামনে এসেছে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে শিয়ালদহ আদালত টালা থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। চলতি বছরের ২১মার্চ। সূত্রের খবর, ওই অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে টালা থানাকে ২১ মার্চের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। সেই ঘটনার কী হল এখন তাও জানতে আগ্রহী কলেজ কর্তৃপক্ষ। বস্তুত, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অপসারিত অধ্যক্ষ ডা.সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন আগেই সরব হয়েছিল। অভিযোগ জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।