• কুণালের সঙ্গে 'সিনিয়র'-এর সাক্ষাৎ ঘিরে এ বার কি নতুন 'দ্বন্দ্ব'?
    এই সময় | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেন বামপন্থী চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই পদক্ষেপ ভালো চোখে দেখছেন না আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সরব হয়েছেন অনেকেই। আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া লেখেন, 'জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য কিছু প্লিজ় করবেন না...।' এ বার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘সবাই আমাকে পছন্দ করবে তা হয় নাকি!’জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের নেপথ্যে বাম এবং অতি বামেদের উস্কানি রয়েছে বলে আগাগোড়া অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই ইস্যুতে বামপন্থী চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক বার তিনি আক্রমণও করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বৈঠক করেন কুণাল। এরপরেই সিনিয়র এই চিকিৎসক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের ভালোর জন্য করেছেন।

    যদিও জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ স্পষ্ট করেছিলেন, নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপে তাঁরা দুঃখ পেয়েছেন। কোনও রাখঢাক না করেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে লেখেন, 'জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য প্লিজ় কিছু করবেন না। জুনিয়র ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের জন্যই রাস্তায়। আজকে থেকে সাধারণ মানুষের জন্য করুন। সবার জন্য করুন।'

    কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক এবং এ প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে 'এই সময় অনলাইন'-এ মুখ খুলেছেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'আমি কোনও সংগঠনের তরফে কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলিনি। ব্যক্তিগতভাবে মানবিকতার কারণে গিয়েছিলাম।'

    তাঁর সংযোজন, 'আমার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো এই মুহূর্তে সেই রকম কোনও নেতা শহরে নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরে। আমি নিজে একটা আবেদন করে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু নিম্ন আদালতে কোনও আবেদন খারিজ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। আর সেই জন্য আমি মানুষ হিসেবে, এক জন চিকিৎসকের বাবা হিসেবে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছি। নতুন করে কোনও আন্দোলনকারী আর অসুস্থ হন তা চাই না।' তিনি এক্ষেত্রে কুণাল ঘোষকে ‘নিম্ন আদালত’ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘উচ্চ আদালত’ হিসেবে বোঝাতে চেয়েছেন।

    চিকিৎসকদের আন্দোলন 'ব্লাইন্ড লেনে' চলে গিয়েছে বলেও দাবি এই চিকিৎসকের। তাঁর কথায়, 'জুনিয়র ডাক্তাররা যা করছেন তা মেরুদণ্ড সোজা না থাকলে করা যায় না। তারপরেও কোথাও গিয়ে একটু নরম হতে হবে, আলোচনায় বসার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। মনে হচ্ছে আন্দোলনটা ব্লাইন্ড লেনে চলে গিয়েছে। কয়েকটা জায়গায় আটকাতে না পারলে এই ছেলেদের অত্যন্ত ক্ষতি হবে। আমরা কেউ তা চাই না।'
  • Link to this news (এই সময়)