হাওড়া, শিয়ালদা ও কলকাতা মিলিয়ে ৫২টি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করল পূর্ব রেল। সব ট্রেনের যে প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়ার সময় বা প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছানোর সময় পরিবর্তন হয়েছে, তেমনটা নয়। অধিকাংশ ট্রেনেরই যাত্রাপথের কোনও স্টেশনে পৌঁছানোর সময়সূচি পালটানো হয়েছে। যে তালিকায় অমৃতসর-কলকাতা অকাল তখত এক্সপ্রেস, জম্মু তাওয়াই-হাওড়া হিমগিরি এক্সপ্রেস, কালকা-হাওড়া নেতাজি এক্সপ্রেস, সিউড়ি-শিয়ালদা মেমু এক্সপ্রেস, জম্মু তাওয়াই-শিয়ালদা হামসফর এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন আছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক ট্রেনও সেই তালিকায় রয়েছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল হলদিবাড়ি-শিয়ালদা দার্জিলিং মেল, নিউ আলিপুরদুয়ার-শিয়ালদা পদাতিক এক্সপ্রেস, শিলঘাট টাউন-কলকাতা কাজিরাঙা এক্সপ্রেস। আগামী নভেম্বরের শেষের দিক থেকে সেই নয়া সময়সূচি কার্যকর হবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আসানসোল ডিভিশনের জসিডি থেকে মধুপুর অংশে রেলট্র্যাকের সর্বোচ্চ গতিবেগ বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আর তার ফলে একাধিক ট্রেন দ্রুত ছুটতে পারবে। স্বভাবতই আগের থেকে কম সময় লাগবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এতগুলি মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হল। আগামী মাসের শেষের দিক থেকে সেই নয়া টাইমটেবিল কার্যকর হবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
আর তারইমধ্যে রেলের তরফে আরও একটি সুখবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত চার মাস । সেদিন থেকেই নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই সময়সীমা কমিয়ে আনার ফলে সাধারণ মানুষের লাভ হবে। কারণ সাড়ে চার মাস আগে অফিসে ছুটির আবেদন করা, ১২০ দিন আগে টিকিট কেটে রাখার প্রক্রিয়া এত সহজ ছিল না। সাড়ে চার মাস আগে থেকে ছুটিতে অনুমোদন দেয় না সব অফিস। ফলে অনেক টালবাহানা হয়। টিকিটের কী হবে, কীভাবে বুকিং করা যাবে, সেইসব নিয়ে মাথায় অনেক চিন্তা থাকে।
অনেকের মতে, কেউ-কেউ তো ১২০ দিন আগে টিকিট কেটে রাখেন। ছুটি না পেলে টিকিট বাতিল করে দেন। তাতে টাকাও নষ্ট হয়। সেখানে ৬০ দিন আগে থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম চালু হলে অনেকটা স্বস্তি মিলবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
আরও পড়ুন: TDS default charges reduced: অদেয় TDS-র ক্ষেত্রে জরিমানার হার কমল! জারি নয়া নির্দেশিকা, তবে সকলের লাভ হবে না