একসপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে টিএমসিপি’র অফিস, নির্দেশ আরজি কর কর্তৃপক্ষের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ অক্টোবর ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নানা খবরও সামনে চলে আসছে। এই হাসপাতালের মধ্যেই ছিল ফটোকপি সেন্টার। যেখান থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ারা সুলভে বই, নোট, নথিপত্র জেরক্স করাতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই ঘর পাল্টে যায়। আর সেটি হয়ে যায় টিএমসিপি’র ইউনিট অফিস। আরজি কর হাসপাতালের এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। এবার বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করলেন আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একটি বৈঠক করে টিএমসিপি’কে একসপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ওই অফিস সরিয়ে ফেলতে হবে। সেটা না হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর এই ছাত্র সংগঠনের অফিস নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। কিছু চিকিৎসক এবং পড়ুয়া এই আপত্তি তোলেন। আসলে ২০১২ সালে পড়ুয়াদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরের একটি ঘরে ফটোকপি বা জেরক্স সেন্টার খোলা হয়। সেখানে ডাক্তারি পড়ুয়ারা কম খরচে নানা নথির ফটোকপি করাতে পারতেন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এক বছর আগে ওই ঘরটি জোর করে খালি করে দেন সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আশিস পাণ্ডে, অভিষেক সেন–সহ থ্রেট সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তখন ওই ঘরের দখল নিয়ে টিএমসিপি ইউনিটের অফিস তৈরি করা হয়।
এই ঘটনার পর অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেটা বলার মতো কোনও ইস্যু বা প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যাচ্ছিল না। ডাক্তারি–পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চাও হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু থ্রেট সিন্ডিকেটের সদস্যদের ভয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা যায়নি। আর এখন সন্দীপ ঘোষই জেলে। তাই আর ভয়ের কোনও বিষয় নেই। তারপর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখন চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে ধর্ষণ–খুনের ঘটনার পর থেকে ওই অফিস বন্ধ ছিল। পরে খোলার সম্ভাবনাও ছিল। সেটা যাতে না হয় তাই এবার একসপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এই একসপ্তাহের মধ্যে ওই অফিস সরিয়ে ফেলতে হবে। এই সিদ্ধান্তে আসার আগে একটা বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। সেখানে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ জানান, ওই বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ওই ছাত্র সংগঠনকে আগামী একসপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তাদের কার্যালয় সরিয়ে নিতে হবে এখান থেকে। আর সেটি যদি না হয় তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।