পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাশিমনগর এলাকায় একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ৪০টি ৫০০ টাকার জাল নোট-সহ গ্রেফতার করা হয় জুলফিকরকে। হরিহরপাড়া ব্লকের চোয়া অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতির পদে ছিলেন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়া থানা এলাকায় এক তৃণমূল নেতা সনাতন ঘোষের খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তের খাতায় নাম রয়েছে জুলফিকরের। কিন্তু খুনের ঘটনায় নাম জড়ানোর পর পরই তিনি ‘বেপাত্তা’ হয়ে গিয়েছিলেন।
বেশ কিছু দিন ধরে ওই কংগ্রেস নেতা জাল টাকার কারবারে যুক্ত আছেন বলে সূত্র মারফত জানতে পারে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে বহরমপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে জাল টাকার কারবার চালাতেন অভিযুক্ত, আর কারা এই চক্রে জড়িত, সে সব জানতে জুলফিকরকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। সেই কারণে ১০ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে তারা।
অন্য দিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গির শাহ বলেন, ‘‘কেউ অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে লিপ্ত থাকলে তাঁকে আমরা কোনও ভাবেই দলে বরদাস্ত করব না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাড়া গ্রামে খুনের ঘটনায় নাম জড়ানোর পরেই তাঁকে (জুলফিকর) অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের খোঁচা, ‘‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস দুষ্কৃতীদের আশ্রয়দানকারী একটি দল হয়ে উঠেছে। আইন আইনের পথেই চলবে।’’