সন্দীপ এবং অভিজিৎকে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে কিছু ‘তদন্তসাপেক্ষ’ ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, ঘটনা চাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ফোনকলও করা হয়েছিল। কয়েক জন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়গুলিই বেশি করে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই। সে কারণে তাদের তরফে দুই অভিযুক্তকে আরও জেরা করতে চেয়ে তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের আবেদন করা হয়। সিবিআইয়ের আরও দাবি, জেল থেকে ছাড়া পেলে দুই অভিযুক্ত সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন, এমনকি প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। তাই তাঁদের জেল হেফাজতে রেখে দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
সিবিআই আগেই সন্দীপের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছে। এ বার নার্কো পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল। এই পরীক্ষায় অভিযুক্তের সম্মতির প্রয়োজন। সন্দীপ নার্কো পরীক্ষার জন্য সম্মতি দেননি। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করাতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই। অভিযুক্ত তাতে সম্মতি দেননি। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার আরজি কর হাসপাতালে এসেছিলেন। সন্দীপ সেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। অভিজিৎ টালা থানার প্রাক্তন ওসি। অপরাধের আগে এবং পরে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে একটি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিবিআই যে ‘বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স’ পেয়েছে, তার ভিত্তিতেই প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।