• তরুণীর 'প্রাণের বিনিময়ে' আলো এল কৃষ্ণনগরের সেই গলিতে
    এই সময় | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগরে শোরগোল। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই গলিতে শুক্রবার দিনের বেলাতেও জ্বলতে দেখা গেল আলো। সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই বসেছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এলাকাবাসীর আক্ষেপ, এই তৎপরতা আগে দেখানো হলে বাঁচানো যেত একটা প্রাণ।কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বুধবার সকালে এক তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও অ্যাসিড বা অন্য কোনও রাসায়নিক দিয়ে তাঁকে পোড়ানোর প্রমাণ মেলেনি বলে ময়নাতদন্ত শেষে জানান চিকিৎসক সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জীবন্ত অবস্থায় তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

    কৃষ্ণনগরের ওই গলিতে মহিলা পরিচালিত একটি পুজো মণ্ডপের পাশেই উদ্ধার হয় ওই তরুণীর মৃতদেহ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাত হলেই সেখানে বিভিন্ন অসমাজিক কাজকর্ম চলত। মদ্যপানের আসরও বসত সেখানে। রাতের বেলায় সেই রাস্তায় আলাদা করে কোনও আলো জ্বলত না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর নিকষ কালো অন্ধকারে অপরাধমূলক কাজকর্ম আরও বাড়ত বলে দাবি তাঁদের।

    এই তরুণীর মৃত্যুর পর সেই রাস্তায় দিনের বেলাতেও জ্বলছে আলো। সাধারণ মানুষের আক্ষেপ, যদি আগেই রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা হত, সেক্ষেত্রে হয়তো এই ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত। এই ঘটনার পর সেই গোটা রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে খানিক দূরে অবস্থিত মহিলা দুর্গাপুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা জানান, এই ঘটনার দিন প্রত্যেকে লক্ষ্মীপুজো নিয়ে ব্যস্ত ছিল। দুর্গা মণ্ডপে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল প্রায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। এরপর যে যার বাড়ি চলে যায়।

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে ওই তরুণীকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা কেউ কোনও আওয়াজ বা চিৎকার শুনতে পারেননি। এই মুহূর্তে ওই গোটা এলাকাটি পুলিশি নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)