• ফরাক্কায় নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর : ফরাক্কায় ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই তথ্য পেল পুলিস। পুজোয় দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসে নৃশংসভাবে খুন হয় ওই নাবালিকা। গত রবিবার বিজয়া দশমীর দিন বান্ধবীদের সঙ্গে ফুল কুড়োতে বের হয় সে। ফুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী এক মাছ ব্যবসায়ী ওই নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর বহুক্ষণ তার কোনও খোঁজ না মেলায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে নাবালিকার পরিজনেরা। তার বান্ধবীরা জানায় মাছ ব্যবসায়ী দীনবন্ধু হালদার ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা রেল কলোনি এলাকার ওই মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তখন ঘরের একটি কোনা থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে খুনের মামলা রুজু করে। পরে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়।


    ঘটনার দু’দিন পর দেহের ময়নাতদন্ত হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের পুলিস মর্গে। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পায় পুলিস। সেখানে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের উল্লেখ রয়েছে। ধর্ষণ করার সময় নাবালিকা চিৎকার করে। সেই সময় মুখে কাপড় গুজে দিয়েছিল অভিযুক্ত। তারপর শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এবার তদন্তে গতি আসবে বলেই আশা করছে মৃত নাবালিকার পরিজনেরা। এদিকে এই মামলায় রাজ্যের তরফে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়েছে। ফরাক্কার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, অভিযুক্ত যুবককে আমরা ১০ দিন হেফাজতে পেয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)