শুভেন্দু এদিন বলেন, সিঙ্গুরে না হল শিল্প না হল কৃষি। দুই হাজার ছেলে কাজে ঢুকেছিল। প্রমোটিং জমি ভরাট করে বেচারাম মান্না কোটি কোটি টাকার মালিক। এক পকেটে পুলিস। পুলিশ যদি সরিয়ে দেয় ওর পিঠের চামড়াটা কাল লোক তুলে দেবে।
তৃণমূলকে নিশানা করার পাশাপাশি সিপিএমের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, সিপিএম মমতাকে সিঙ্গুরে ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছিল। সিপিএমের জন্য মমতা এখানে ঢুকতে পেরেছিল। বেশির ভাগচাষি চেক নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্গাদারকে টাকা দিতে চায়নি সিপিএম। বর্গাদারদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া সিপিএমের বড় ভুল। বর্গাদারের লাঠি মারল আর মমতা ঢুকল সিঙ্গুরে। জাতীয় সড়ক বন্ধ করে নেচেছে, গেয়েছে। বুদ্ধবাবু যদি মমতাকে মেরে তুলে দিতেন, তাহলে সিঙ্গুরের এই অবস্থা হত না। জ্যোতিবাবু থাকলে হত না এমন।
এর পাল্টা বেচারাম মান্না বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলার মানুষ জানে শুভেন্দু অধিকারী একজন বিশ্বাসঘাতক গিরগিটি প্রজাতির নেতা। কারন ও ভুলে গেছে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৪ দিনের যে অবস্থান হয়েছিল দুর্গাপুর রোডের পাশে এখানে শুভেন্দু অধিকারী ও তার বাবা শিশির অধিকারী মমতা ব্যানার্জির সেই ধরনা মঞ্চে বক্তব্য রেখেছিলেন। বলেছিলেন সিপিএম এর দালাল। আজকের সিঙ্গুরের বুকে দাঁড়িয়ে টাটাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে এসেছেন। যদি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতেই হয় কাঁথির শান্তি কুঞ্জে নিজেদের লোক নিয়ে দেওয়া উচিত। শুভেন্দু অধিকারী যে গিরগিটি প্রজাতি মিথ্যুক তার সিঙ্গুরের মানুষ বেশি বোঝে। বেশি বোঝে বলেই আজ তার সভায় সিঙ্গুরের লোক হয়নি। বাইরে থেকে হাজার খানেক লোক নিয়ে এসে অশান্তি করার চেষ্টা করছে।