ঘটনাটি ঠিক কী? জয়দেব সরকারের পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর রাতে পতিরাম থানার বাউল এলাকায় একটি মারপিটের ঘটনা ঘটে। যার তদন্তে নেমে পতিরাম থানার পুলিস শুভজিত সরকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। যিনি জয়দীপ সরকারের সম্পর্কে নিজের ভাগ্নে। ওই মারপিটের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন বলে পুলিস জানায়। শুভজিত সরকারকে শুক্রবার থানায় নিয়ে আসবার পরেই ধৃত ওই যুবকের আত্মীয় জয়দেব সরকার থানায় পৌঁছন। সেখানে পৌঁছে তিনি মোবাইল দিয়ে থানার বিভিন্ন ছবি মোবাইলবন্দী করতে শুরু করেন। যা দেখে সেখানকার কর্তব্যরত অফিসার তাঁকে সেই ভিডিয়ো তোলা বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়েই পুলিসের সাথে বিতর্কে জড়ান ওই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। তারপরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের জোরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন জয়দেব। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই স্কুল শিক্ষক।
পরিবারের লোকেদের দাবি পুলিসের মারের জেরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন জয়দেব। যদিও পরিবারের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পতিরাম থানার পুলিস। পতিরাম থানার ওসি সতকার সাংবো ফোনে জানিয়েছেন, 'পুলিসি নিষেধ স্বত্ত্বেও ভিডিয়ো তোলা বন্ধ করেননি ওই স্কুল শিক্ষক। এরপর তাঁকে ধরে নিয়ে আসতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।'