কী সেই কর্মসূচি? জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, আগামী মঙ্গলবার সব জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সরকারি ও বেসরকারি জায়গায়-সব জায়গায় সর্বাঙ্গীন একটি ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব। এটাও বলে রাখা জরুরি যে যে মুহূর্তে এই কথা বলা হবে তক্ষুনি বলা হবে, তাহলে তো তোমরা মানুষের বিপক্ষে। মানুষের বিপক্ষে নই এটা বোঝানোর জন্য আমরা কর্মবিরতি ত্যাগ করেছিলাম। নিজেদের জীবন বাজি রাখার পরও যখন মানবিকতার লেশমাত্র পাচ্ছি না তখন প্রতিটি সংগঠন মিলে এই জায়গায় যেতে বাধ্য হচ্ছি যে সোমবার পর্যন্ত সময়ে দেওয়া হচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে ধর্মঘটে যেতে হবে।
শুক্রবার মেডিকেল কলেজে সিনিয়র ডক্টরদের সঙ্গে জুনিয়ার ডক্টরদের সাতটি সংগঠন আলোচনায় বসেছিল। বৈঠকে সিনিয়র ডক্টরদের মধ্যে উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় , শরদ্বত মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক ডাক্তার হাজির ছিলেন। বৈঠকের পর বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশীষ হালদার বলেন, তাদের যে দশ দফা দাবি তার মধ্যে দু'নম্বর থেকে ১০ নম্বর দাবি, তা ১০ মিনিটে মেনে নেওয়া যায় বা তা ১০ মিনিটে তা মেনে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কোন রকম তার সুরাহা হচ্ছে না। গত ১৩ দিন ধরে তাদের সহকর্মীরা ধর্মতলায় ধরনামঞ্চে অনশন করছেন। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে । সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। অথচ এই সময় মানবিক মুখ্যমন্ত্রীকে দরকার ছিল। জুনিয়ার ডাক্তারদের কাছে তিনি কেন আসছেন না বা তিনি কেন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেন না সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলেন তারা। এর পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ধর্মঘটের চরম সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
শনিবার আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়ি থেকে ধর্মতলা অব্দি ন্যায় বিচার যাত্রা ।রবিবার তারা ধর্মতলায় মহাসমাবেশ করবেন। যাতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আর্তি মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়ে। সোমবারে তারা অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু তারপরেও যদি কোন সূরাহা না হয়, সরকারের তরফ থেকে, যদি কোন ইতিবাচক উত্তর তাদের কাছে না আসে, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে তারা ধর্মঘটে যাবেন এবং এই স্বাস্থ্য ধর্মঘটে জেরে যদি সাধারণ মানুষের সমস্যা বা প্রাণহানি ঘটে সেক্ষেত্রে তার দায় জুনিয়র ডাক্তারদের নয়। তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে। এবং এই ধর্মঘট কেবল রাজ্য নয় যাতে অন্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেজন্য অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠন গুলির সঙ্গেও আলোচনা করছেন তারা।