তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে দেরি করে এফআইআর করা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাই আজ শিয়ালদহ আদালতে অভিজিত্ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্ট ও সন্দীপ ঘোষের নারকে টেস্ট করাতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। কিন্তু দুজনের ওই টেস্ট করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন। আজ দুজনের কনসেন্ট রেকর্ড করা হয়। কিন্তু দু'জনই মত দিতে অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছিল। দিল্লির সিএফএসএলে সেই টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী বেশকিছু অসংগতি পাওয়া গিয়েছে। ফলে সন্দীপ ঘোষের নারকো অ্যানালিসিক টেস্ট করাতে চেয়েছিল সিবিআই। তাতে আরজি করের ঘটনায় কোনও বড় ষড়যন্ত্র থাকলে তা বেরিয়ে আসার কথা। তবে আপাতত তা হচ্ছে না।
আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরপরই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি থেকে শুরু করে শবদেহ পাচারের অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এসবের তদন্ত করতে সন্দীপ ঘোষের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। এসবের মধ্যেই এসে পড়ে বৃহত্তর দুর্নীতির প্রসঙ্গে। অভিযোগ ওঠে টালা থানার ওসির সঙ্গে মিলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে তাঁর ভূমিকা ছিল।