সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৈলাসে ফিরেছেন মা। তাঁর আগমনে চোখ ধাঁধানো থিমের সাক্ষী থেকেছে মহানগর। তার অনেকগুলো ফের দেখা যাবে জেলার পুজোয়। না, পরের বছরের পুজোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এবারের চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতেই(Jagadhatri Puja 2024) তা দেখা যাবে।
মাস ফুরোলেই দশভুজার অপর রূপ উমা হৈমন্তির (দেবী জগদ্ধাত্রীর অপর নাম) পুজো। চন্দননগরের আলোর পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী পুজোও সমানভাবে বিখ্যাত। গঙ্গাপাড়ের এই শহরের বিভিন্ন ক্লাবের পুজোয় সুরুচি, মুদিয়ালি, ত্রিধারা, হাজরা পার্কের এবছরের দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, চেতলা অগ্রণী, ও বাঘাযতীনের একটি পুজো মণ্ডপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোচবিহারে। যা পরের বছরের দুর্গাপুজোতে ব্যবহার করবে ‘কোচ রাজা’র শহরের দুটি ক্লাব।
কলকাতার বড় দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম সুরুচি সংঘের পুজো। এবারের পুজোয় তাদের থিম ছিল ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। পুরনো গাড়ি, মাছ ধরার জাল, তেলের টিন ব্যবহার করে মণ্ডপ তৈরি করে শিল্পী মানবজীবনের ফেলে আসা স্মৃতির কথা মনে করিয়েছিলেন। এবার সেই মণ্ডপ দেখা যাবে হুগলির মানকুণ্ডুর নিয়োগী বাগান জগদ্ধাত্রী পুজোয়।
ত্রিধারা অকালবোধনের থিম ‘অঙ্গন’ ফের তৈরি হচ্ছে চন্দননগরের হেলাপুকুর জগদ্ধাত্রী কমিটির পুজোয়। এন্টালির ১৪ পল্লি উদয়ন সংঘের থিম ছিল ‘পরম্পরা’। চন্দননগরের বড়বাজার সর্বজনীনের পুজোয় দেখা যাবে সেই থিম।
তিনটি থিম যাঁর মস্তিকপ্রসূত, সেই গৌরাঙ্গ কুইলা বলেন, “এই মণ্ডপগুলো খুলে চন্দননগরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এটা শুধু একটা মণ্ডপ একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া নয়। আমার দলের শ্রমিক, শিল্পীরা ফের কাজের সুযোগ পায়।”
শুধু এই থিমগুলো নয়, মুদিয়ালি ক্লাবের ‘ত্রিমূর্তি’ পুনরায় তৈরি হবে মানকুণ্ডু সর্বজনীনের পুজোয়। হাজরা পার্কের ‘সুধী’ থিম দেখা যাবে চন্দননগরের খলিসানী সর্বজনীনের পুজোয়। এই দুই মণ্ডপের প্রধান থিম শিল্পী বিমান সাহা বলেন, “লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত মালবাহী গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার পর থেকেই মণ্ডপ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চন্দননগরের যে দুই ক্লাবে মণ্ডপগুলো যাবে তাঁদেসর পুজো ৩ তারিখ ভাই ফোঁটার দিন উদ্বোধন হবে। আমরা সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।”
পাশাপাশি, চেতলা অগ্রণী তাদের থিমে গঙ্গাদূষণ রোধের বার্তা দিয়েছিল। সেই একই মণ্ডপ আগামী বছরের দুর্গাপুজোর জন্য বরাদ্দ করে নিয়েছে কোচবিহারের মোহনবাড়ি দুর্গাপুজো কমিটি। এই থিমের প্রধান শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই পুজো কমিটি একবছর এই মণ্ডপটিকে সংরক্ষণ করে রাখবে। আমার সহকারীরা কোচবিহারে মণ্ডপ তৈরি করবে।” বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজো মণ্ডপও কোচবিহারের একটি কমিটি ব্যবহার করবে।