এই সময়, কুলতলি: ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর রেওয়াজ আছে জয়নগরে। কিন্তু এ বার সেই লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড় ছিল না। গ্রামের মানুষ বছর ৯-এর ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকাহত। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা। পুজোর আগে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি। পরে জলাশয় থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।কিন্তু ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই গ্রামে পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার আলিপুরে জেলা দায়রা আদালতে এই ঘটনায় ধৃত যুবককে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জয়নগর থানার পুলিশ ধৃতের জেল হেফাজত চায় বলে জানা গিয়েছে।
গ্রামের মানুষের দাবি, গ্রামের লক্ষ্মীর বিচার চান তাঁরা। চতুর্থ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হতেই তার বাড়ির লোকের দাবি ছিল, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রথমে ধর্ষণের কথা মানতে চায়নি বলে অভিযোগ। শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে পকসো মামলা হয়।
এর পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। ছাত্রীর মা বলেন, ‘যে বা যারা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়। পুলিশ ঘটনাটি ধামাচাপা না দিয়ে ভালো করে তদন্ত করুক। সেইসঙ্গে মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্পের যিনি ইনচার্জ ছিলেন তার যেন কঠোর শাস্তি হয়।’