মণ্ডপের কাজে বাধা বৃষ্টি, বাজ পড়ে পুড়ল মণ্ডপের একাংশ
এই সময় | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়, বারাসত: বারাসতের কালীপুজোর খ্যাতি রাজ্যজুড়ে। মাস তিনেক আগে থেকে বড় বাজেটের মণ্ডপের কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু নতুন করে নিম্নচাপের মেঘে বিপদ দেখছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কালীপুজোর আগে লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাসে সময়ে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে অনেক বড় পুজো কমিটি।
বুধবার সন্ধ্যায় বাজ পড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বারাসত নবপল্লি অ্যাসোসিয়েশনের পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপের সামনের মাঠে জল জমেছে। নবপল্লি অ্যাসোসিয়েশনের কালীপুজো প্রত্যেক বছর নজরকাড়া মণ্ডপ উপহার দেয়। এ বছর তাদের মূল ভাবনা বৃন্দাবনের একটি মন্দির।মাস দুই আগে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট। কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও এখন বাধা বৃষ্টি। বুধবার বাজ পড়ে মণ্ডপের একাংশ পুড়ে যায়। সে সময় শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের কয়েকজন মণ্ডপের ভিতরেই ছিলেন। বাজ পড়ার শব্দে তাঁরা মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে আসেন। পুড়ে যাওয়া মণ্ডপ মেরামত-সহ অনেক কাজ বাকি।
বারাসতের বড় বাজেটের পুজোর মধ্যে অন্যতম আমরা সবাইয়ের পুজো। মাত্র আট বছরের মধ্যে শহরের অন্য পুজোকমিটিগুলোকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে তারা। এ বছর তাদের মূল আকর্ষণ তিব্বতের কৈলাস ও মানস সরোবর। মণ্ডপের উচ্চতা ৮৭ ফুট। গত ১১ অগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়েছে মণ্ডপের।
চট, বাঁশ, ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে কৈলাস। সঙ্গে রঙের ব্যবহার। পুজো কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা অরুণ ভৌমিক বলেন, ‘দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাঝেমধ্যে বাজও পড়ছে। মণ্ডপ তৈরির জন্য বাঁশের কাঠামোয় উঠতে হচ্ছে শিল্পীদের। কিন্তু বাজ পড়ায় তাঁরা সেখানে উঠে কাজ করতে পারছেন না।’
কেএনসি-র কালীপুজোর মণ্ডপ ২৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তারা মণ্ডপে গুজরাটের সাংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতা মণ্ডপের। তিন মাস ধরে কাজ চলছে। কিন্তু বৃষ্টিতে কাজের ক্ষতি হচ্ছে। চন্দননগরের আলোকসজ্জায় ভাসবে বারাসত শহর। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নিম্নচাপের ভ্রুকুটি কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এ ভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলতে থাকলে মণ্ডপ শেষ করা নিয়ে চিন্তা থাকছেই।’
মধ্যমগ্রামের পশ্চিম চণ্ডীগড়ের বালক ও কিশোর সঙ্ঘে কেদারনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। উচ্চতা প্রায় ৩৫ ফুট। পুজো কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর দত্ত বলেন, ‘আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগে টানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে খুব চিন্তায় পড়েছি। কর্মীরা বৃষ্টিতে কাজ করতে পারছেন না। কী ভাবে সময়ের আগে কাজ শেষ হবে, কেদারনাথ পাহাড়ে রং কী ভাবে হবে, তা নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন।’ মধ্যমগ্রামের পূর্বাশা যুব পরিষদ রাজস্থানি মহল্লা করছে। কমিটির সম্পাদক রাজীব সরকার বলেন, ‘বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচিয়ে যতদূর কাজ করা সম্ভব, সে ভাবেই কাজ চলছে।’