সরকার দাবি না মানলে সর্বাত্মক ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের
এই সময় | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়: আবার ফিরল ডেডলাইন। শুক্রবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তাঁদের ১০ দফা দাবি পূরণের জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে সময়সীমা দিলেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না-হলে আর কর্মবিরতি নয়, মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সমস্ত ডাক্তার সর্বাত্মক ধর্মঘটে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।এই ধর্মঘট আগামী দিনে লাগাতার চলবে কি না, আন্দোলনকারীদের তরফে তা স্পষ্ট করা না-হলেও যদি সত্যিই ডাক্তাররা সবাই ধর্মঘটে নামেন, তা হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনিতে গত ৯ অগস্ট আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় দেড় মাসের কর্মবিরতির জেরেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে শুক্রবারের এই ঘোষণায় নতুন করে আশঙ্কার মেঘ ঘণীভূত হলো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি আরজি কর নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টও বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বার্তা দিয়েছিল। প্রথমে আংশিক, পরে পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলেও জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে কয়েকজন প্রতিনিধি ধর্মতলায় আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিভিন্ন মহল থেকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হলেও তা থেকে সরে আসেননি তাঁরা।
এর মধ্যেই এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরে রাতে আন্দোলনকারীদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সোমবারের মধ্যে যদি মানবিক মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিগুলি বিবেচনা করে মেনে না নেন, তা হলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘটের দিকে যেতে বাধ্য হব। সেই আন্দোলনে রাজ্যের সিনিয়র চিকিৎসকেরাও থাকবেন।’
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা কালীপুজোর পরে। তার আগে ডাক্তাররা সর্বাত্মক ধর্মঘটে গেলে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে, সে দিকে নজর রয়েছে সব পক্ষের। রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও এই ব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। পুরো বিষয়টা জানানো হলে মন্তব্য করতে পারব।’