‘বুদ্ধবাবু যদি মেরে তুলে দিত তাহলে আজকে বাংলার এই সর্বনাশটা হত না’
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
সিঙুরে টাটা কারখানার করুণ পরিণতির জন্য সিপিএম ও তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সিঙুরে পরিত্যক্ত টাটা প্রকল্পের জমির সামনে রতন টাটার স্মরণ সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই সভায় সিপিএমের বিরুদ্ধে ভোট কেটে তৃণমূলের সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘তিনি বলেন, ‘সিপিএমের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে ঢুকতে পেরেছিল। মোট ১৩ হাজার লোকের জমি ছিল। ১১ হাজার জমির মালিক সবাই চেক নিয়ে নিয়েছিল। ২ হাজার বর্গাদার ছিল। আপনাদের যে ২৩৫এর দম্ভ ছিল তখন, আপনারা ২ হাজার বর্গাদারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাননি। তারা বলেছিল, মালিক যদি ২ হাজার টাকা পেয়ে থাকে আমাকে ৫০০ দিন। সেদিন সিপিএম বলেছিল না, বর্গাদারকে দেব না। আপনারা মারলেন লাঠি বর্গাদারের মাথায় আর বর্গাদার ঢুকল এখানে। সর্বনাশ হল বাংলার।’
শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘বুদ্ধবাবুর ব্যক্তিগতভাবে প্রচেষ্টা ছিল। অস্বীকার করার জায়গায় নেই। কিন্তু বুদ্ধবাবুর বড় ভুল ছিল। জাতীয় সড়ক বন্ধ করে ১৬ দিন এখানে নেচেছে কুঁদেছে। পর্দা নামিয়ে খেয়েছে ভালোমন্দ। বুদ্ধবাবু যদি মেরে তুলে দিত তাহলে আজকে বাংলার এই সর্বনাশটা হত না।’
শুভেন্দুর সাফাই, ‘আপনাদের মধ্যে কারও প্রশ্ন থাকতে পারে আপনি তো তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। পারিবারিক পার্টি তাই দলের মধ্যে বলতে পারিনি। কিন্তু ৩০ জন বিধায়কের মধ্যে একমাত্র বিধায়ক আমি যে স্যান্ডুইচ আর চকোলেট খাওয়া অনশনে যাইনি। একটা যদি ছবি দেখাতে পারেন আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।’
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমাদের অন্তরটা জ্বলছিল। টাটার মতো তৈরি হওয়া কারখানা ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এক দিনে বিস্ফোরণ করে ভেঙে ফেলে সরষে ছড়িয়েছিল। একটাও গাছ ওঠেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা পরে জেসিবি নামিয়েছিল। বলেছিল, মাছের চাষ হবে। একটাও মাছ চাষ হয়নি।’
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম ভোট কাটাতেই লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, সিপিএমের মুসলিম সমর্থকরা ভোট দেওয়ার সময় তৃণমূলকে দেয়। শুধুমাত্র হিন্দু ভোটটা পায় সিপিএম। এদিনের সভা থেকে সিপিএমের হিন্দু ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।