‘মুখ্যমন্ত্রী কি আমাদের কথা ভাবছেন না?’ অনশন মঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলেন সায়ন্তনীরা
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
আজ পর্যন্ত ১৩ দিন হয়ে গেল। ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ‘আমরণ অনশন’ করছেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার অসুস্থও হয়ে পড়েন। তবে শুরু থেকেই অনশনে রয়েছেন সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, সিগ্ধা হাজরা এবং অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার ধর্মতলা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন সায়ন্তনীরা প্রশ্ন তোলেন, কেন এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কাছে আসেননি? কেন তাঁদের ১০ দফা দাবি মেনে নিচ্ছেন না? কেন তাঁদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এমন অভিমানের প্রশ্ন করতেই তার জবাব দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
আজ শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন। তাতে বেশ সরগরম হয়েছে পরিস্থিতি। জুনিয়র ডাক্তার সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা বলেন, ‘আমরা ১৩ দিন ধরে শুধু জল খেয়ে আছি। শুধু জল। কথা বলতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কি আমাদের কথা ভাবছেন না? আমরা দেখলাম, তিনি দুর্গাপুজোয় মেতে আছেন। কোথায় গেল ওঁর মাতৃসত্তা? আমাদের এখানে তো এলেন না! কেন উনি এত নিষ্ঠুর?’ পাল্টা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ওঁরা বললেন, মুখ্যমন্ত্রী একবার আসতে পারলেন না? জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ধরনা মঞ্চে গেছিলেন। জ্যোতিবাবুর মতো পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে বৈঠক করেছেন, নবান্নেও। আপনারা যখন যেখানে ইচ্ছে বসবেন, আর মুখ্যমন্ত্রীকে ততবার যেতে হবে?’
এখন সিবিআই গ্রেফতার করে জেরা করেছে তৎকালিন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। তদন্ত এগিয়ে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারও কাজ করে চলেছে। এই অচলাবস্থা কাটাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে আজ, শুক্রবার সায়ন্তনীর বক্তব্য, ‘আমাদের এখানে সাধারণ মানুষ রোজ আসছেন। সকলে বলছেন, ‘তোমরা জয়ী হও। আমাদের সন্তানতুল্য বলছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কি একবারও মনে হচ্ছে না যে, ওদের শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি? এই নিষ্ঠুরতা আমাদের নির্বাক করেছে।’
আগামীকাল শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায়যাত্রা করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তা নিয়ে সায়ন্তনীর দাবি, ‘আমরা জানি এই ন্যায়যাত্রায় সাধারণ মানুষ ঠিক আসবেন। জনতার আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা নিশ্চয়ই জনতার সাড়া পাব। কিন্তু তাঁর সাড়া কি আমরা পাব?’ এখানে তাঁর বলতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথা বুঝিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার সায়ন্তনী। আর সায়ন্তনীর আহ্বান, ‘আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। মঞ্চের সামনে আসুন। আমাদের মনে শক্তি দিন। আমাদের শরীর ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। কণ্ঠ ক্ষীণ হচ্ছে। আপনাদের কণ্ঠে আমরা শক্তি ফিরে পাব।’ আর রুমেলিকার কথায়, ‘৭০ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। ১৩ দিন ধরে অনশন। এটা হওয়ার কথা ছিল না। আমাদের এভাবে না খেয়ে বসে থাকার কথা ছিল না। এসবের জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী।’