• বাম আমলে RG Karর সৌমিত্রর রহস্যমৃত্যুর কেস-ফাইল খুলছে রাজ্য!উঠছে পর্ন-চক্র ইস্যু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • আরজি কর-এ সদ্য তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রতিবাদে সরব রাজ্যের নানান মহল। বিগত কয়েক মাস ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তাঁদের পাশে থেকে আন্দোলনের সামনের সারিতে উঠে এসেছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসকও। তাঁদেরই মধ্যে এক সিনিয়র চিকিৎসকের নাম ঘিরে নানান চর্চা শুরু হয়েছে আরজি কর কলেজে ঘটে যাওয়া ২৩ বছর আগের এক ঘটনার সঙ্গে। ২৩ বছর আগে আরজি করের তৎকালীন পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাসের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবারের আজও নানান অভিযোগ রয়েছে। সেই সৌমিত্রর মৃত্যুর কেস ফাইল খুলছে রাজ্য।

    সদ্য সৌমিত্র বিশ্বাসের ভাই শান্তনু বিশ্বাস তাঁর দাদার মৃত্যুর কেস ফাইল খোলার আর্জি জানান। সেই আর্জি পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, অভিযোগ, বাম আমলে গত ২৩ বছর আগে, আরজি কর-এর হস্টেলে পর্নোগ্রাফির শুটিং চলত। সৌমিত্র বিশ্বাসের পরিবারের দাবি, সেই সমস্ত কিছুর প্রতিবাদ করতেই সৌমিত্রকে খুন করা হয়েছিল। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ২৩ টা বছর। বিশ্বাস পরিবারের অভিযোগ, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলা নতুন করে খোলা নিয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানাতেই এগিয়ে আসেন ব্যাপাকপুরের পার্থ ভৌমিক, বলেন,' আমি নিজে ও তৃণমূল কংগ্রসের সব কর্মী আপনাদের পাশে আছি। আপনার ভাইয়ের খুনের ন্যায় বিচারের জন্য আমরা সর্বোতভাবে চেষ্টা করব।' তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে এই মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। 

    ঘটনা ২০০১ সালের। সেই সময় আরজি কর-এ সৌমিত্র বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, এমন তত্ত্বকে সমর্থন করেননি সৌমিত্রর পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় তৎকালীন এক এসএফআই নেতা এক জুনিয়র চিকিৎসক ছিলেন অভিযোগের কাঠগড়ায়। সেই সময় আরজি কর-এর পর্ন চক্র নিয়ে সরব হয়েছিল এসএফএআই। মসনদে তখন বাম সরকার। সম্প্রতি সেই পর্ন চক্র ঘিরে অভিযোগে বিদ্ধ হতে শুরু করেছেন বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলনে থাকা এক সিনিয়র চিকিৎসক। গোটা বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রিপোর্ট বলছে, সৌমিত্র বিশ্বাসের মা সবিতাদেবীর অভিযোগ ছিল, তাঁর ছেলে আরজি করের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে চলা পর্নোগ্রাফিক চক্রের ব্যাপারে জেনে গিয়েছিল। তাঁর ব্যাচের একটি মেয়ের ছবি বিকৃত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ছিল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)