সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: অনেক জায়গায় কালীপুজোয় চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ ওঠে। ময়নাগুড়িতে সেই জুলুমবাজি ঠেকাতে বদ্ধপরিকর পুলিস। রাস্তা আটকে কিংবা জোর করে চাঁদা আদায় করলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। শুক্রবার ময়নাগুড়ি মাড়োয়ারি ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ কথা জানালেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার সমীর আহমেদ। ময়নাগুড়ির বিভিন্ন কালীপুজো উদ্যোক্তা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে হয়। সেখানে এএসপি ছাড়াও ডিএসপি (ক্রাইম) রুদ্রনারায়ণ সাউ, আইসি সুবল ঘোষ, বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুমুদরঞ্জন রায়, দমকল বিভাগের ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা সহ বিভিন্ন প্রধান এবং কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার বৈঠকে স্থির হয়, কালীপুজোয় দর্শনার্থীরা যেন অসুবিধায় না পড়েন সেজন্য মণ্ডপ থেকে বেরোনোর গেট বড় করার কথা বলা হয়েছে। মেলাগুলিতে নজরদারি চলবে। সড়কপথে গাড়ি আটকে চাঁদা তোলা যাবে না। যারা নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যুৎদপ্তর সূত্রে খবর, কালীপুজোয় হুকিং রুখতে সমগ্র ময়নাগুড়িজুড়ে টিম তৈরি করা হয়েছে। ৯টি টিম সমগ্র ময়নাগুড়ির আলাদা আলাদা স্থানে নজরদারি চালাবে। ময়নাগুড়ির ব্লক এবং দমকল বিভাগ জানিয়েছে, তারা অনলাইনে অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এএসপি বলেন, ময়নাগুড়িতে ২১৪টি কালীপুজো হচ্ছে। ৫৩টি পুজোর লাইসেন্স রয়েছে। আমরা পুজো কমিটিকে বলেছি, কোথাও জুয়ার আসর বসানো যাবে না। জোর করে চাঁদা আদায় বরদাস্ত করা হবে না। প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন ডিজে বক্স বাজানো যাবে না। - নিজস্ব চিত্র