• আলুর মরশুম শুরুর আগে সার ও বীজের কালোবাজারি রুখতে নজরদারি কৃষিদপ্তরের
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে আলু চাষের মরশুম শুরু হতে চলেছে। প্রতিবছর এই সময়ে সার ও বীজের চাহিদা বাড়ে। যার সুযোগে দেদার কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। এবছর সেই কালোবাজারি ঠেকাতে আগেভাগে নজরদারি শুরু করল কৃষিদপ্তর। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকের মতো ময়নাগুড়িতেও বিভিন্ন বীজের দোকানে কড়া নজরদারি চালাবে কৃষিদপ্তর। শুক্রবার এ কথা জানালেন জেলা কৃষি আধিকারিক গোপালচন্দ্র সাহা। আলু বীজের দোকানের পাশাপাশি কীটনাশক এবং সারের দোকানেও চলবে নজরদারি চালানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।


    অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা দু’মাস আলু চাষ করেন ময়নাগুড়ির কৃষকরা। বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে, পাঞ্জাবের বীজ লেখা প্যাকেটে অন্য জাতের আলু বিক্রি হয়। সেই সময় কৃষকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণেই বীজ কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই কাগজ দোকানে গিয়ে খতিয়ে দেখবেন কৃষিদপ্তরের কর্তারা। কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে আলুর বীজ দোকান থেকে ক্রয় করতে পারেন, সেটাও দেখবে দপ্তর। তেমনই সারের  কালোবাজারিতেও লাগাম পরাবে কৃষিদপ্তর। পাশাপাশি কৃষকদের সঙ্গেও  তাঁরা কথা বলবেন। বিক্রেতারা কোন রাজ্য থেকে আলুর বীজ নিয়ে এসেছেন তার কাগজ খতিয়ে দেখা হবে। চালান এবং ইনভয়েস দেখা হবে বলে কৃষি দপ্তর জানিয়েছে। 


    এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলার সার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, কৃষিদপ্তর বাজারে নজরদারি চালাক, আমরা সেটা চাইছি। আমরা তাদের সবরকম সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। কৃষি আধিকারিক বলেন, আলুর বীজ বিক্রি শুরু হয়েছে। আমরা বাজারে খোঁজ রাখছি। কিছু বাজার এলাকায় আমরা নজর রাখছি। ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়িতে ও নজরদারি চলবে। প্রত্যেকটি আলুর বীজের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাগজ দেখা হবে। অব্যবস্থা নজরে পড়েলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    শুক্রবার ময়নাগুড়ি বাজারে আলুর বীজ কিনতে এসে কৃষক সুরেশ রায় বলেন, আমি ধওলাগুড়ি এলাকায় তিন বিঘা আলু চাষ শুরু করছি। পোখরাজ আলুর বীজ ১৮০০ টাকা প্রতি বস্তা হিসেবে কিনলাম। এক বস্তায় ৫০ কেজি আলুর বীজ রয়েছে। যাতে কালোবাজারি না হয়, সেটা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)