সংবাদদাতা, পতিরাম: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পতিরাম থানার পুলিস। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিসের হাতে সপাটে চড় খেলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই। পুলিসের চড় খেয়ে থানাতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন পেশায় স্কুল শিক্ষক ওই ব্যক্তি। পুলিসই তাঁকে দ্রুত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এমনই অভিযোগ পতিরাম থানার পুলিসের বিরুদ্ধে। এনিয়ে শুক্রবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় আক্রান্তের পরিবার। যদিও পুলিস মারধরের কথা অস্বীকার করেছে। উল্টে ভয়ে ওই ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি পুলিসের। পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো বলেন, থানায় এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস তাঁকে মারধর করেনি। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিস সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, পরিবারের যদি কোনও বক্তব্য থাকে তাহলে লিখিত আকারে তা দিলে আমরা বিষয়টি দেখব। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুষমা সরকার বলেন, অন্যায়ভাবে পুলিস আমার ছেলেকে আটক করেছিল। আমরা থানায় কথা বলতে যাই। আমার ভাইকে ভিতরে ঢুকিয়ে কানের নীচে চড় মারে পুলিস। আমি বাইরে থেকে মারধরের শব্দ শুনতে পেয়েছি। এরপরই অ্যাম্বুলেন্স এসে ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। পুলিস অন্যায়ভাবে ছেলেকে আটক করেছে এবং আমার ভাইকেও মারধর করেছে। পরিবারের নিকট আত্মীয় বিকাশ মণ্ডল বলেন, আমর ভাগ্নি জামাই কিছু ভুল করে থাকলে সেটা বলা যেত। তাই বলে মারধর? কোন অধিকারে পুলিস একাজ করেছে। এনিয়ে পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ করব। পুলিস সূত্রে খবর, আক্রান্তের নাম জয়দেব সরকার। বাড়ি পতিরাম থানার বাউলে। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। তাঁরই দিদি বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুষমা সরকার। তাঁর ছেলে স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করেন। ওই দোকানের মালিক পুজোর ভাসানে গিয়ে মারপিটে অভিযুক্ত। তাঁর মোবাইল বিজেপি সদস্যের ছেলের কাছে ছিল। সেই কারণেই এদিন পতিরাম থানার পুলিস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়েই বিজেপি নেত্রী ও তাঁর ভাই প্রতিবাদ করতে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় নেত্রীর ভাই মোবাইলে থানার ভেতরে ছবি তুলতে থাকেন। পুলিসের বিরুদ্ধে নানারকম প্ররোচনামূলক কথা বলতে থাকেন বলেও অভিযোগ। এর প্রতিবাদ করেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসের এস আই। এরই মধ্যে ওই অফিসার বিজেপি নেত্রীর ভাইকে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ।