দীপাবলির আগে রায়গঞ্জের মাটির প্রদীপ পাড়ি দিচ্ছে ভিনরাজ্যে
বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: হাইটেক সিটি হায়দরাবাদ হোক বা টেক্সটাইল সেক্টর গুজরাত। দীপাবলির আগে দেশের একাধিক রাজ্যের অন্যতম ভরসা রায়গঞ্জে মাটির তৈরি রকমারি প্রদীপ। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভিনরাজ্যের উদ্দেশ্যে ট্রাকে ট্রাকে প্রদীপ যাওয়া। আর এতেই খুশির আবহ রায়গঞ্জের প্রদীপ প্রস্তুতকারীদের মধ্যে। মাঝে মাত্র ১২ দিন। তারপরই প্রথা মেনে মাটির প্রদীপের মিঠে আলোয় দেশজুড়ে পালিত হবে দীপাবলি উৎসব। তার আগে প্রদীপ তৈরিতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা। এখানকার প্রদীপ প্রস্তুতকারকদের দাবি, শুধু গুজরাত, হায়দরাবাদ নয়। দেশের নানা প্রান্তে মাটির প্রদীপ সরবরাহ শুরু হয়েছে। পুনে, গোয়া, বিহার, অসমেও রায়গঞ্জ থেকে প্রদীপ পাড়ি দিচ্ছে। পাশাপাশি রায়গঞ্জ সহ প্রতিবেশী জেলাগুলিতেও বিপুল পরিমাণে প্রদীপ যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কলকাতা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদহ, বালুরঘাটেও প্রদীপ পাঠানো শুরু হয়েছে।
সুভাষগঞ্জের প্রদীপ প্রস্তুতকারী সমীর সাহা বলেন, দীপাবলির জন্য বছরের এই মরশুমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মাটির প্রদীপের বিপুল চাহিদা থাকে। বিশেষত সেই প্রদীপ যদি এ রাজ্যের কুমোরদের হাতের তৈরি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আমাদের কুমোরটুলি থেকে কয়েক দফায় ট্রাকে করে প্রদীপ গিয়েছে পুনে, হায়দরাবাদ, গুজরাত, গোয়া, অসমে। চাহিদা অনুযায়ী প্রতি পিস দেড় টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত নানা দামের নানা ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে। আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা, আমাদের তৈরি প্রদীপের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে ভিনরাজ্যে। এখানে মূলত দীপাবলি ও ভিনরাজ্যে প্রদীপ পাঠানো শুরু হয়েছে। সাদামাটা একমুখী প্রদীপ থেকে শুরু করে পঞ্চমুখী প্রদীপ তৈরি হয়। কারুকাজ করা নানা রঙের প্রদীপ তৈরি করছেন সুভাষগঞ্জের মহিলা শিল্পীরাও। সেইসঙ্গে মাটির টবও এখান থেকে পাড়ি দেয় ভিনরাজ্যে।
মৃৎশিল্পীদের কথায় ভিনরাজ্যের বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন হাতে নয়, মেশিনের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ডিজাইনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে রোদে শুকিয়ে, ভাটিতে পোড়ানো হয় কাঁচামাটির প্রদীপগুলিকে। তারপর সূক্ষ্ম হাতের কাজে ফিনিশিং দিয়ে আগুনে পোড়ান হচ্ছে।