পুরসভা-পুলিসের নির্দেশই সার! শহরে বিপজ্জনকভাবে টোটোয় পণ্য পরিবহণ
বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পুরসভা ও পুলিসের নির্দেশই সার! জলপাইগুড়ি শহরে টোটোতে দিব্যি পণ্য পরিবহণ চলছে। টোটোর ভিতরে তো বটেই, ছাদেও বিশাল বিশাল বস্তা বেঁধে বিপজ্জনকভাবে দোকানের মালপত্র পরিবহণ হচ্ছে। সেসব বস্তা টোটোর দু’দিকে অনেকটা বেরিয়ে থাকছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের মূল রাস্তা দিয়ে টোটোয় নিত্যদিন পণ্য পরিবহণ চললেও পুলিসের হেলদোল নেই। ট্রাফিক পুলিস দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। পুলিস-প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে জাতীয় সড়কে দেদার টোটো চলছে বলে অভিযোগ। এমনিতেই শহরের রাস্তায় যানজটে হাঁটা যায় না। তার উপর মালপত্র নিয়ে এমনভাবে টোটো যাতায়াত করছে, তাতে আরও সমস্যায় পড়ছেন পথচারীরা।
শুক্রবার দিনবাজারে এসেছিলেন অর্চনা রায়। বললেন, বস্তায় মালপত্র নিয়ে যাওয়া একটা টোটো এমনভাবে পিছন থেকে ধাক্কা মারে, আর একটু হলেই হুমড়ি খেয়ে পড়তাম। প্রতিবাদ করায় উল্টে টোটোচালক আমার উপরে হম্বিতম্বি করে বলে, আমি নাকি ফুটপাত দিয়ে যাচ্ছিলাম না।
ট্রাফিক পুলিসের জলপাইগুড়ি সদরের আইসি অমিতাভ দাস বলেন, টোটোয় কোনওভাবেই পণ্য পরিবহণ করা যাবে না। আমরা নজর রাখছি। চোখে পড়লেই সেই টোটো আটক করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, জাতীয় সড়কে টোটো চলবে না বলে বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নজরদারিও চলছে। পুজোর ছুটি মিটলেই পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ হবে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, পুজোর কারণে টোটো নিয়ে কিছুটা শিথিল অবস্থান নেওয়া হয়েছে। শহরের বাইরেরও প্রচুর টোটো রোজ ঢুকছে। তবে এমনটা থাকবে না। পুজোর মরশুম মিটলেই আমরা পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে কড়া পদক্ষেপ নেব।
আইএনটিটিইউসি’র জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি পুণ্যব্রত মিত্র বলেন, শহর ও গ্রামের টোটো নিয়ে আমাদের কিছু বক্তব্য আছে। সেসব আমরা যথাস্থানে বলেছি। কিন্তু কোনও টোটো পণ্য পরিবহণ করতে পারবে না। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে পুলিস উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।
টোটো নিয়ে জেরবার শহরবাসী। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভা মুখেই অনেক কথা বলে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করে না। পুরসভার তরফে বলা হল, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া শহরে টোটো চলবে না। অথচ শহরে নম্বরপ্লেট ছাড়া হাজার হাজার টোটো চলছে। এছাড়া টোটোতে বিপজ্জনকভাবে পণ্য পরিবহণ তো আছেই। - নিজস্ব চিত্র